বাংলা হান্ট ডেস্কঃ চর্চায় এখন ‘কালীঘাটের কাকু’ ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র (Sujay Krishna Bhadra)। বঙ্গের নিয়োগ দুর্নীতির নবতম সংযোজন এখন তিনিই। সম্প্রতি ইডির (ED) হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই একের পর এক চাঞ্চল্যকর খবর উঠে আসছে তার বিষয়ে। এরই মধ্যে এবার ‘কালীঘাটের কাকু’র দুই হিসেবরক্ষককে (CA) তলব ইডির।
ইডি সূত্রে খবর, কালীঘাটের কাকুর যে ৬টি কোম্পানির হদিশ মিলেছে, সেই সংক্রান্ত লেনদেন নিয়েই জিজ্ঞাসাবাদ করতেই এই তলব। ৬টি কোম্পানির হিসেব-নিকেশ দেখতেন একে তুলসিয়ান ও এসকে ভরতিয়া। আগামী সপ্তাহে ইডি দফতরে ২ চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টকে তলব।
দুর্নীতি মামলায় ‘কালীঘাটের কাকু’র ওরফে সুজয়কৃষ্ণের একাধিক কোম্পানির সঙ্গে যুক্ত থাকা ২ হিসেবরক্ষক এবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আতস কাঁচের নীচে। কালীঘাটের কাকুর বিভিন্ন কোম্পানির এই বিপুল পরিমান টাকার উৎস কী? কীভাবে হতে লেনদেন? কারাই বা পাঠাতেন টাকা ? এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর পেতে মরিয়া ইডি। তাই দুই হিসেবরক্ষককে তলব করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি গরু ও কয়লা পাচার চক্রেও হাত রয়েছে সুজয়কৃষ্ণর। এমনটাই বিস্ফোরক দাবি করেছে ইডি। সেই সূত্র ধরে বর্তমানে ইডির হাতে ধৃত সুজয়কৃষ্ণের গতিবিধিতে নজর রাখছে আরেক তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। ইডির দাবি হেফাজতে থাকাকালীন এ বিষয়ে সুজয়কৃষ্ণকে একাধিক বার প্রশ্ন করা হলেও তা এড়িয়ে গিয়েছেন তিনি। তদন্তকারীদের অনুমান ‘কাকু’ কিছুক্ষেত্রে তাদের ভুল পথে চালিত করার চেষ্টা করেছেন।
অন্যদিকে, ইতিমধ্যেই আদালতে ইডি দাবি করেছে, কমপক্ষে ১০০টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের লেনদেনে সুজয়কৃষ্ণর যোগ রয়েছে। তার চারটি কোম্পানির হদিস মিলেছে। যার মধ্যে এখনও পর্যন্ত দুটি কোম্পানির টাকা ও সম্পত্তির লেনদেনের কিছু তথ্য তদন্তকারীদের হাতে এসেছে।
এই সমস্ত অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে বিপুল পরিমান লেনদেনের প্রাথমিকভাবে সূত্র মিলেছে বলে দাবি তদন্তকারীদের। এর মধ্যে নিয়োগ দুর্নীতির টাকাও রয়েছে। পাশাপাশি হাওয়ালার মাধ্যমে কালো টাকা এনে সাদা করা হয়েছে বলেও দাবি ইডির। এ রাজ্য ছাড়াও টাকার লেনদেন হয়েছে ভিন রাজ্য থেকেও। এর মধ্যেই রয়েছে গরু ও কয়লা পাচারের টাকাও, অনুমান ইডির। এইসব ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের লেনদেন সংক্রান্ত তদন্তের স্বার্থেই ২ হিসেবরক্ষকের ডাক পড়েছে বলে জানা যাচ্ছে।