বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্যের দুয়ারে পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election)। ভোটের যদিও এখনও কিছুদিন বাকি তবে তার আগে মনোনয়ন পর্বেই শাসক দলের জয়জয়কার। রাজ্য জুড়ে জেলায় জেলায় একাধিক আসনে ভোটের আগেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী শাসক দল তৃণমূল (Trinamool Congress)। তবে এবার উঠে এল ভিন্ন চিত্র। তমলুকের (Tamluk) মিরিকপুরে তৃণমূল শূন্য গ্রামসভার আসন।
শাসকদল ছাড়াই কিনা ভোটের লড়াই! হ্যাঁ ঠিক এমনটাই হচ্ছে তমলুক ব্লকের পদুমপুর- ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের মিরিকপুর ১৫ নম্বর গ্রামসভা আসনে।কেন প্রার্থী দিতে অক্ষম শাসকদল! প্রসঙ্গত মিরিকপুর আসনের বিদায়ী তৃণমূল সদস্য তথা গ্রাম-পঞ্চায়েতের বিদায়ী উপপ্রধান সুকুমার নায়ক বর্তমানে জেলে।
সুকুমারবাবুর পরিবর্তে তৃণমূলের হয়ে কেউই মনোনয়ন জমা করেননি ওই আসনে। তাই তৃণমূল ছাড়াই করাই হবে আম, বাম, বিজেপি ও বটগাছ প্রতীকের মধ্যে। এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে কিছুদিন আগের একটি ঘটনার। সম্প্রতি নবজোয়ার কর্মসূচি নিয়ে রাজ্য জুড়ে কর্মসূচী করেছে তৃণমূল সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)।
সেই সময় পদুমপুর গ্রাম-পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সুকুমার নায়কের নামে নানা অনিয়ম-বেনিয়মের অভিযোগ শোনেন অভিষেক। তারপরই ওই উপপ্রধানের ওপর বেজায় ক্ষুব্ধ হন নেতা। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে তমলুক থানায় দায়ের হয় অভিযোগ। এরপরই গ্রেফতার হন পদুমপুর গ্রাম-পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সুকুমার নায়ক।
যদিও প্রার্থী না দেওয়া নিয়ে বিন্দুমাত্র চিন্তা নেই শাসকদলের মধ্যে। এবিষয়ে পদুমপুর- ১ অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি দীপনারায়ণ সাহু জানান, ”সুকুমার নায়েক গ্রেফতার হয়েছেন। যা সাধারণ তৃণমূলকর্মীরা মেনে নিতে পারেননি। তিনি জেলবন্দি থাকায় অন্য কেউও প্রার্থী হতে চাননি। তবে নির্দল প্রার্থী নির্মল কুইল্যা সেও আমাদের দলেরই সদস্য। তাই ভোটে কোনও রকম অসুবিধা হবে না, গ্রাম-পঞ্চায়েত আমাদের দখলেই থাকবে।”