বাংলা হান্ট ডেস্ক : আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election)। কোমর বেঁধে প্রস্তুতি শুরু করেছে সকল দলই। পিছিয়ে নেই পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress)। কিন্তু এবার প্রচারে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। পূর্ব মেদিনীপুরের ময়নায় তৃণমূলের প্রচারে গিয়ে দলের পুরনো কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হল কুণাল ঘোষকে (Kunal Ghosh)।
জানা যাচ্ছে, একটি বাজার এলাকায় পঞ্চায়েত ভোটের প্রচার চালাচ্ছিল তৃণমূল। নেতৃত্বে ছিলেন দলের অন্যতম মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। কিন্তু বাজার এলাকায় পৌঁছতেই পুরনো দিনের কর্মীরা তাঁকে ঘিরে ধরে জানান, এখন যাঁরা দল চালাচ্ছেন তাঁরা কোনও খবরই দিচ্ছেন না কর্মসূচির।
ওই ভিড়ের মধ্যে দাঁড়িয়ে সব কথা শুনে কুণাল অনুরোধ করেন সভায় আসার জন্য। পরে অনেকেই সেই সভায় উপস্থিত হন। মঞ্চ থেকে ভাষণ দেওয়ার সময়ে কুণাল বলেন, ‘দলের পুরনো দিনের কর্মীরা তাঁদের ক্ষোভের কথা জানিয়েছেন। তাঁদের ক্ষোভ সঙ্গত। যাঁরা দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন, তাঁদের দায়িত্ব রয়েছে সবাইকে কর্মসূচির খবর দেওয়ার।’
কুণাল এদিন স্বীকার করেন, ময়নার স্থানীয় নেতৃত্বের ত্রুটি রয়েছে। সেইসঙ্গে এও বলেন, ঐক্যবদ্ধ হয়েই পঞ্চায়েত ভোট লড়তে হবে। একুশের ভোটে এই ময়নায় জিতেছিল বিজেপি। সেখানকার বিধায়ক বাংলার প্রাক্তন ক্রিকেটার অশোক দিন্দা। অনেকের মতে, কুণালও হয়তো বুঝেছেন এই মাটিতে পুরনোদের গুরুত্ব না দিলে পঞ্চায়েতে ঘুরে দাঁড়ানো মুশকিল।
অপরদিকে, বলাগড়ের তৃণমূল বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারীর ক্ষোভ দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে। ফেসবুকে পোস্ট করে তিনি ফের লেখেন, দলের চিহ্ন পাওয়া এক প্রার্থীকে হারাতে দলেরই একাংশ নির্দল প্রার্থীকে নিয়ে মাতামাতি করছে। দু’দিন আগেই মনোরঞ্জন ফেসবুকে পোস্ট করে জানিয়ে দিয়েছিলেন, তিনি তৃণমূলের দু’টি পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন।
এরই সঙ্গে তিনি জানান, পেনশন চালু হয়ে গেলে বিধায়ক পদটাও ছেড়ে দেবেন। এখন ছাড়তে পারছেন না, তাহলে খাবেন কী? বিধায়কের ভাতাই এখন তাঁর ভরসা।প্রসঙ্গত, বলাগড়ের তৃণমূল ব্লক সভাপতি নবীন গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে মনোরঞ্জনের সংঘাত বহুদিনের। আর তা উত্তোরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে বলেই দাবি দলের একাংশের।