বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্কঃ ছোটবেলায় প্রত্যেক বাচ্চা মানুষের একটা স্বপ্ন থাকে যে তিনি বড় হয়ে একটি নির্দিষ্ট পেশায় সাফল্য লাভ করবেন। কেউ কেউ ছোটবেলা থেকেই ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন দেখেন, কেউ কেউ আবার নিজের মনের ভেতর একজন বৈজ্ঞানিক হওয়ার স্বপ্নকে লালন-পালন করেন। আজ আমরা এই প্রতিবেদনে আপনাদের ভারতীয় দলের (Team India) এমন এক ক্রিকেটারের কথা বলতে চলেছি যার ছোটবেলার স্বপ্ন ছিল একজন কৃষক হওয়া।
ভারতীয় দলের তরুণ প্রজন্মের ক্রিকেটারদের মধ্যে এই মুহূর্তে সবথেকে বেশি পাদপ্রদীপের আলোয় রয়েছেন শুভমান গিল (Shubman Gill)। বাইশ গজের জীবন থেকে শুরু করে তাঁর মনের অন্দরমহলের খোঁজখবর জানতেও উদগ্রীব হয়ে থাকেন সাধারণ মানুষ। ২০২৩ সালের শুরুর দিকে তার ব্যাট প্রতিপক্ষের বোলারদের একাধিকবার নাস্তানাবুদ করে ছেড়েছে। যদিও বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে তিনি ব্যর্থ হওয়ায় তার যথেষ্ট সমালোচনাও হয়েছে। এই খ্যাতির পাশাপাশি ব্যাঙ্ক ব্যালেন্সও বেড়েছে তাঁর।
কিন্তু অনেকেই জানেন না যে ১৯৯৯ সালে পাঞ্জাবের ফাজিলকায় জন্মানো শুভমান গিল ছোটবেলায় একজন কৃষক হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন। এর কারণ অবশ্যই ছিল তার পিতা লখিন্দর সিংয়ের পেশা। কিন্তু কৃষিকাজের সঙ্গে যুক্ত থাকা লখিন্দরের নিজের স্বপ্ন ছিল একজন ক্রিকেটার হওয়া। তিনি নিজে সেই স্বপ্ন পূরণ করতে না পারলেও তার ছেলে যাতে একজন ক্রিকেটার হয়ে ওঠেন তার জন্য সবরকম চেষ্টা করেছিলেন তিনি।
শুভমানের বাবা প্রাথমিকভাবে তার ছেলের অনুশীলনের জন্য নিজে একটি জায়গা প্রস্তুত করেছিলেন। শুভমানকে ব্যাটিং করতে বলে তার গ্রামের ছেলেদের আমন্ত্রণ জানিয়ে তার ছেলেকে আউট করার চ্যালেঞ্জ দিতেন তিনি সেই বাচ্চাদের। শুভমানকে আউট করতে সমর্থ হলে তাদের কপালে জুটতো পুরস্কার। সেখান থেকেই শুভমনের ক্রিকেটের প্রতি আসক্তি তৈরি হয় এবং পরবর্তীতে তার বাবা তাকে পাঞ্জাব ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের অ্যাকাডেমীতে ভর্তি করে দেয়। এরপর পাঞ্জাবের বিভিন্ন বয়সভিত্তিক দলে খেলে তিনি ভারতের হয়ে অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করেন। সেই বিশ্বকাপ জয় করার পর আর ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে।
বর্তমানে প্রতিশ্রুতিময় কেরিয়ারের পাশাপাশি সম্পত্তির পরিমাণের দিক দিয়েও দ্রুত উপরে উঠছেন শুভমান। সূত্রের খবর মানলে, ২০২৩ এর একদম শুরুতে তাঁর মোট সম্পত্তির পরিমাণ ছিল আনুমানিক ৩০-৩১ কোটি টাকা। মাসে প্রায় ৬৬ লক্ষ টাকা উপার্জন করেন তিনি। এর মধ্যে খেলা ছাড়াও রয়েছে বিভিন্ন বিজ্ঞাপন, ব্র্যান্ড এবং সোশ্যাল মিডিয়া থেকে প্রাপ্ত অর্থ।