বাংলা হান্ট ডেস্ক: ইতিমধ্যেই গত ১৯ মে একটি বড়সড় ঘোষণা করেছে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক (Reserve Bank Of India, RBI)। মূলত, ওই দিন ২,০০০ টাকার নোট প্রত্যাহারের ঘোষণা করে RBI। পাশাপাশি, জনসাধারণকে তাঁদের কাছে থাকা ২,০০০ টাকার নোট ব্যাঙ্কে গিয়ে জমা দেওয়ার বিষয়টিও উপস্থাপিত করা হয়।
এমতাবস্থায়, এবার রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস ২,০০০ টাকার নোটের প্রত্যহারের ঘটনায় ভারতীয় অর্থনীতি প্রভাবিত হবে কি না এই প্রসঙ্গে মন্তব্য করেছেন। তিনি জানিয়েছেন যে, ২,০০০ টাকার নোট প্রত্যাহারের ফলে ভারতীয় অর্থনীতিতে কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না।
এই প্রসঙ্গে সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এর সাথে সাক্ষাৎকারের সময় RBI গভর্নর জানান, “একটা বিষয় আমি স্পষ্ট করে বলতে পারি যে, আমরা এখন যে ২,০০০ টাকার নোটগুলি প্রত্যাহার করছি তা অর্থনীতিতে কোনো নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে না।”
এদিকে, এর আগে তিনি বলেছিলেন যে ২,০০০ টাকার নোট প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তের ঘোষণার পর থেকে সার্কুলেশনে থাকা মোট কারেন্সি নোটের দুই-তৃতীয়াংশেরও বেশি ফেরত এসেছে। পাশাপাশি, গভর্নর গত সপ্তাহে পিটিআই-কে জানিয়েছেন, ” প্রত্যাহার করা ২,০০০-এর ব্যাঙ্ক নোটের দুই-তৃতীয়াংশ বা ২.৪১ লক্ষ কোটি টাকা অর্থাৎ ৩.৬২ লক্ষ কোটি টাকার (৩১ মার্চ, ২০২৩ পর্যন্ত) দুই-তৃতীয়াংশ গত সপ্তাহের মাঝামাঝি সময়ে সিস্টেমে ফিরে এসেছে।”
এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, ক্লিন নোট নীতির অংশ হিসেবে, কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক গত ১৯ মে ঘোষণা করেছে যে প্রায় ৩.৬২ লক্ষ কোটি টাকার ২,০০০ টাকার নোট সার্কুলেশন থেকে প্রত্যাহার করা হবে। উল্লেখ্য যে, ২০১৬-র ৮ নভেম্বরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ঘোষণা করেছিলেন নোটবন্দির।
যার ফলে তৎকালীন প্রচলিত ৫০০ এবং ১,০০০ টাকার নোট বাতিল হয়ে যায়। আর তারপরেই ২,০০০ টাকা সহ আরও অন্যান্য নোটের প্রচলন শুরু হয়েছিল। এদিকে, জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের টাকশাল ২০১৮-১৯ সালে ২,০০০ টাকার নোট ছাপানো বন্ধ করেছিল।