বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্কঃ মহেন্দ্র সিংহ ধোনি (MS Dhoni) ক্রিকেট জগতে ক্যাপ্টেন কুল বলে পরিচিত। কঠিন পরিস্থিতিতে নিজের মাথা ঠান্ডা রাখার গুণের জন্য পরিচিত তিনি। কিন্তু বিশেষ কিছু পরিস্থিতিতে তিনিও নিজের মেজাজ হারিয়েছেন, এমনটা দেখা গিয়েছে কয়েকবার। আইপিএলের মঞ্চে হোক বা দেশের জার্সিতে মাঠে নামার সময়, খুব সামান্য কিছু ক্ষেত্রে মহেন্দ্র সিংহ ধোনি নিজের মাথা ঠান্ডা রাখতে ব্যর্থ হয়েছিলেন এমন ঘটনা ঘটেছে। তেমনি একটি ঘটনা নিয়ে এবার বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন বীরেন্দ্র সেওবাগ (Virender Sehwag)।
আইপিএল ২০১৯-এর সময় ধোনি এমন একটি কান্ড করেছিলেন যার জন্য বীরেন্দ্র সেওবাগ এবার এই তার ওপর সন্তুষ্ট নন। রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে লীগ পর্বের একটি খেলায় নোবল সংক্রান্ত একটি সিদ্ধান্ত নিয়ে মহেন্দ্র সিংহ ধোনি অসন্তোষ প্রকাশ করেন এবং ডাগ আউট থেকে সরাসরি নেমে এসে আম্পায়ারদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন।
ধোনিকে বরাবরই সবচেয়ে শান্ত এবং ঠান্ডা মাথার অধিনায়ক হিসাবে বিবেচনা করা হয়। ভারতীয় কিংবদন্তি খুব কম সময়ই মাঠে তার স্নায়ুর ওপর থেকে নিয়ন্ত্রণ হারান। সাধারণত তার দলের কোনও খেলোয়াড়ও ভুল করলেও ধোনিকে তার সঙ্গে ভদ্রভাবেই আচরণ করতে দেখা যায়। কিন্তু আইপিএল ২০১৯-এর সময়, ধোনি রাগ করে মাঠে নেমে গিয়ে ক্রিকেট জগৎকে হতবাক করে দিয়েছিলেন।
মরশুমের ২৫ তম ম্যাচে রাজস্থানের একটি ডেলিভারিকে নো-বল হিসেবে গণ্য না করায় বিরক্ত ধোনি মাঠে নামেন। ভবিষ্যতের আইসিসি হল অফ ফেমার তার কাজের জন্য সমালোচিত হয়েছিল এবং বীরেন্দ্র সেওবাগ মন্তব্য করেছেন যে এই কাজের জন্য তাকে কয়েকটি ম্যাচে নিষিদ্ধ করা উচিত ছিল। তবে তাকে ম্যাচ ফি-এর ৫০ শতাংশ জরিমানা করেই ছাড় দেওয়া হয়েছিল।
কিন্তু বীরেন্দ্র সেওবাগ মনে করেন সেবার অত্যন্ত অল্পের ওপর দিয়ে রেহাই পেয়ে গিয়েছিলেন ক্যাপ্টেন কুল। অন্তত তিন-চারটি ম্যাচের জন্য তাকে ব্যান করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া উচিত ছিল আইপিএল গভর্নিং বডির। ধোনির এই শাস্তি বাকিদের কাছে একটা বার্তা হিসেবেও যেত যে আপনি যত বড় ক্রিকেটারই হন না কেন নিয়ম ভঙ্গ করলে আপনাকে শাস্তি পেতেই হবে।