বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্যে বেজে গিয়েছে পঞ্চায়েত ভোটের দামামা। হাতে মাত্র দিন কয়েকের সময়। এরই মধ্যে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর এবার ভোট প্রচারে বেরিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বর্তমানে উত্তরবঙ্গে পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারে তৃণমূল নেত্রী। গতকাল কোচবিহারের চান্দামারিতে জনসভা ছিল তার। আর সেখানে দাঁড়িয়েই বিরোধীদের তোপ দাগার পাশাপাশি সীমান্তবল রক্ষা বাহিনী তথা বিএসএফ-কে (BSF) লক্ষ্য করে আক্রমণ শানান মমতা।
নেত্রীর অভিযোগ ছিল ‘ভয় দেখিয়ে ভোটারদের প্রভাবিত করে বিএসএফ বাহিনী।’ মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যের পরই শোরগোল পরে যায় গোটা রাজ্যে। আর তারই কয়েক ঘণ্টার মধ্যে কড়া জবাব এলো বিএসএফ দের তরফে। বিএসএফের গুয়াহাটি ফ্রন্টিয়ারের পক্ষ থেকে এক বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী যা বলেছেন, তা কোনওভাবেই সত্য নয়। এবং সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।
ঠিক কী বলেছিলেন মমতা? কোচবিহারের ভরা জনসভায় দাঁড়িয়ে মমতা বলেন, ‘আমার কাছে খবর আছে, বিএসএফ আপনাদের ভয় দেখাবে ইলেকশনের সময়। বলবে তুলে নেব, সিবিআই লাগাব, ইডি লাগাব– এই সব। কিন্তু ভয় দেখালে কমপ্লেন করবেন। এটা রাজ্য সরকারের ল অ্যান্ড অর্ডারের মধ্যে পড়ে। এটা কেন্দ্রীয় সরকারের আন্ডারে কিন্তু পড়ে না।’
এরই পাল্টা জবাব দিয়ে BSF বিবৃতিতে জানিয়েছে, ”মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোচবিহারের চান্দামারিতে যে মন্তব্য করেছেন তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং বাস্তবের থেকে বহু দূর। বিএসএফ একটা পেশাগত বাহিনী, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত প্রহারার কাজে মোতায়েন। তাদের কাজ দেশের সুরক্ষা নিশ্চিত করা। সীমান্তবর্তী মানুষকে সুরক্ষা দেওয়া ও আন্তর্সীমান্ত অপরাধকে রোখা, অনুপ্রবেশ ও স্মাগলিং, পাচারের মতো যেকোনও ধরনের বেআইনি কাজকে ঠেকানো। এখন আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচনের কারণে সুরক্ষার জন্যেও তাদের কাজে লাগানো হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনের নজরদারিতে এলাকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাই তাদের কাজ।”
প্রসঙ্গত, শুধু তৃণমূল সুপ্রিমোই নন। এই কিছুদিন আগেই তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও মাথাভাঙ্গার সভা থেকে সরাসরি বিএসএফ বাহিনীকে তোপ দেগেছিলেন। এর আগেও দিনহাটার বিধায়ক তথা উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ সুর চড়িয়েছেন বিএসএফের বিরুদ্ধে। আর এবার খোদ মুখ্যমন্ত্রীর গলাতেও একই সুর।