বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্কঃ লিওনেল মেসির (Lionel Messi) নাম শোনেননি বা তার কীর্তিকলাপ সম্পর্কে অবহিত নন এমন মানুষের সংখ্যা অত্যন্ত কম। বিশ্ব ফুটবলের সবচেয়ে সফল ফুটবলারের নাম মেসি। ক্লাব ফুটবলে একজন ফুটবলারের পক্ষে যা যা জেতা সম্ভব তা সবই বার্সেলোনার জার্সিতে যেটা নিয়েছিলেন লিওনেল মেসি। শেষ দুই বছরে আর্জেন্টিনার জার্সি গায়েও সাফল্য পেয়ে নিজের শখ পূর্ণ করে ফেলেছেন তিনি।
মেসির ফুটবল খেলাটার কাছ থেকে আর কোনো চাহিদা নেই। তাই মাত্র ৩৫ বছর বয়সেই তিনি ইউরোপ ছেড়ে পাড়ি জমিয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাব ইন্টার মিয়ামীর হয়ে মেজর লিগ সকার খেলতে। সৌদি আরবের ক্লাবের তরফ থেকেও তার কাছে বিশাল অংকের টাকার অফার ছিল কিন্তু মেসি নিজের স্ত্রী আন্তোনেল্লা রোকুজ্জার পরামর্শ মেনে এশিয়ার বদলে আমেরিকাকেই নিজের পরবর্তী গন্তব্য হিসেবে বেছে নিয়েছেন।
সকলেই জানেন মেসির জীবনে প্রেম এসেছিল তার ছোটবেলার বান্ধবী ও বর্তমান স্ত্রী আন্তোনেল্লার হাত ধরেই। এছাড়া সারা জীবন অন্য কোনও মহিলার প্রতি আকর্ষণই অনুভব করেননি তিনি। এমন মানুষের সঙ্গে যদি ২৩ জন নারীর যৌনতার সম্পর্কে জড়ানোর অভিযোগ ওঠে তাহলে সেটা অবাক করা ব্যাপার বইকি। কিন্তু এই প্রতিবেদনের বিষয়বস্তুর আসল সত্যিটা জানলে চমকে উঠবেন আপনিও।
রেজা প্যারাতাসের নাম আপনাদের মধ্যে হয়তো অনেকেই শোনেননি। ইরানিয়ান এই মানুষটির পরিচয় নকল বা ফেক মেসি হিসাবে। বহুদিন ধরেই ফুটবল ভক্তদের কাছে তিনি জনপ্রিয় তার চেহারার সঙ্গে আর্জেন্টাইন অধিনায়কের চেহারার অদ্ভুত সাদৃশ্যের কারণে। কিন্তু নিজের এই চেহারার সুবিধা নিয়ে এবার একটি মারাত্মক কান্ড করে বসেছেন তিনি।
ইরানের এই নকল মেসি নিজেকে বিশ্বকাপজয়ী তারকা হিসেবে পরিচয় দিয়ে ২৩ জন মহিলার সঙ্গে যৌনতা উপভোগ করেছেন এমনটা অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। তার বিরুদ্ধে ওঠা এই অভিযোগের জন্য তাকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। যদিও প্যারাতাস এই যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। নিজের বক্তব্যে ইরানের এই নকল মেসি জানিয়েছেন যে এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা খবর এবং এর ফল যেভাবে তাকে ভুগতে হচ্ছে সেটা নিন্দনীয় ব্যাপার।
তিনি আরও জানিয়েছেন যে সবচেয়ে অবাক করা ব্যাপার হচ্ছে তার বিরুদ্ধে এই খবরটা ছড়ানো হচ্ছে ঠিকই কিন্তু কেউই প্রকাশ্যে এসে এই অভিযোগ তার বিরুদ্ধে তুলছে না। তিনি চিন্তায় আছেন যে তার দেশে এইরকম অপরাধের শাস্তি হচ্ছে মৃত্যুদণ্ড এবং এই মিথ্যা খবর তার প্রাণ পর্যন্ত কেড়ে নিতে পারে। মেসির মতো চেহারা হওয়াটা তার কাছে যেন অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি জানিয়েছেন এর আগে ২০১৪ সালের ব্রাজিল বিশ্বকাপ চলাকালীন তাকে নিজের এই চেহারার জন্য ভুগতে হয়েছিল। গ্রুপ পর্বে ইরানের বিরুদ্ধে ম্যাচে শেষ মুহূর্তে মেসির অসাধারণ গোলে আর্জেন্টিনা জয় পাওয়ার পরে তার বাবা মেজাজ হারিয়ে তাকে বাড়ি থেকে বার করে দিয়েছিল বলে জানিয়েছেন তিনি।