বাংলাহান্ট ডেস্ক: গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসটা ছিল সঙ্গীত জগতের জন্য এক অন্ধকার অধ্যায়। ১৫ ফেব্রুয়ারি প্রয়াত হন গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় (Sandhya Mukhopadhyay)। তার এক সপ্তাহ আগেই ঘটেছে ইন্দ্রপতন। সুরলোকে পাড়ি দিয়েছেন সুরসম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকর। পরপর দুই কিংবদন্তির প্রয়াণে শোকের ছায়া নেমে আসে সঙ্গীত মহলে।
মাঝে কেটেছে একটা মাত্র বছর। এর মধ্যেই শহরের বুক থেকে মুছে যেতে চলেছে গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের শেষ স্মৃতি। ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে তাঁর বাসস্থান। আরো অনেক জায়গার মতোই সেখানেও মাথা তুলে দাঁড়াবে এক বহুতল। প্রখ্যাত গায়িকার স্মৃতিবিজড়িত জিনিসপত্রের লুটোচ্ছে ধুলোয়।
দক্ষিণ কলকাতার লেক গার্ডেন্সে পোস্ট অফিসের গলিতে একটি দোতলা বাড়িতে থাকতেন গায়িকা এবং তাঁর স্বামী সুরকার শ্যামল গুপ্ত। তাঁর নামেই বাড়ির বাইরের দেওয়ালে ঝুলত এস গুপ্ত লেখা নেমপ্লেট। তা রয়েছে এখনো। কিন্তু বাড়ি ভাঙা পড়ার সঙ্গে সঙ্গে ধ্বংসস্তূপে হারিয়ে যাবে সেটাও।
সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছু ছবি বেশ ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের দোতলা বাড়ি ভেঙে দেওয়া হয়েছে। আধ ভাঙা অবস্থায় দাঁড়িয়ে রয়েছে বাড়ির বাইরে নেমপ্লেট লাগানো দেওয়ালটা। ভেতরে ধ্বংসস্তূপের মধ্যে ফ্রেম ভাঙা অবস্থায় পড়ে রয়েছে ওস্তাদ বড়ে গোলাম আলি খাঁ এর ছবি।
ছবিগুলো দেখে ক্ষুব্ধ নেটিজেনরা। কেউ কেউ লিখেছেন, গোটা বাঙালি জাতির লজ্জা। আবার কারোর প্রশ্ন, সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের মেয়ের কী খবর? তিনিই যদি সম্মতি দিয়ে থাকেন তাহলে কারোরই কিছু বলার নেই। হ্যাঁ, জানা যাচ্ছে গীতশ্রীর মেয়ে সৌমীই বাড়িটি বিক্রি করে দিয়েছেন প্রোমোটারদের। এই বাড়ি ভেঙে সেখানে তৈরি হবে বহুতল।
উল্লেখ্য, গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সুন্দর সম্পর্কের কথা অনেকেই জানতেন। গায়িকার মৃত্যুর পর মুখ্যমন্ত্রী অনেক স্মৃতিই শেয়ার করেছিলেন। তাই আশা ছিল যে গায়িকার অবর্তমানে হয়তো তাঁর বাড়িটি সংরক্ষণ করবে সরকার। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে তেমন কিছুই না হওয়ায় ক্ষুব্ধ আমজনতা।