বাংলাহান্ট ডেস্ক : জটায়ু থাকলে হয়তো লিখতেন ‘ট্রেন নিয়ে টানাটানি!’ কথাটা কিন্তু খুব ভুল নয়। অন্তত গত এক মাসের রেকর্ড তাই বলছে। একের পর এক দুর্ঘটনা যেন পিছুই ছাড়ছে না ভারতীয় রেলের (Indian Railways)। ট্রেন নিয়ে রীতিমতো জমে মানুষের ‘টানাটানি’ শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে আবারও বড় দুর্ঘটনার হাত থেকে বেঁচে গেল হাওড়া কাটোয়া লোকাল।
পূর্ব বর্ধমানের দাঁইহাট স্টেশনে (Dainhat Station) গতকাল রাতে ঢুকছিল হাওড়া কাটোয়া লোকাল। সেই সময় কংক্রিটের স্লিপারের সাথে ধাক্কা খায় ট্রেনটির প্রথম বগি। এরপর তৎপরতার সাথে ট্রেন থামিয়ে দেন চালক। বড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পায় হাওড়া কাটোয়া লোকাল। এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন ট্রেনের যাত্রীরা। ট্রেন সম্পূর্ণভাবে স্টেশনে ঢোকার আগেই যাত্রীরা ট্রেন থেকে নামতে শুরু করেন।
ভয় পেয়ে সকল যাত্রী ট্রেন থেকে হুড়োহুড়ি করে নামতে চেষ্টা করেন। যদিও এই ঘটনায় হতাহতের কোনও খবর পাওয়া যায়নি। দুর্ঘটনার ফলে হাওড়া কাটোয়া লোকালটি রাত 9 টা থেকে দুঘন্টা দাঁড়িয়েছিল দাঁইহাট স্টেশনে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, স্টেশনের চার নম্বর প্লাটফর্মে কাজ চলছে। ফলে প্রচুর পরিমাণ কংক্রিটের স্লিপার রাখা রয়েছে নাইনের পাশেই।
হাওড়া কাটোয়া লোকাল এদিন রাত 9 টা দুই মিনিট নাগাদ ঢুকছিল দাঁইহাট স্টেশনে। সেই সময় ট্রেনের গা ঘেঁসে থাকা কিছু কংক্রিটে স্লিপারের সাথে সংঘর্ষ হয় প্রথম বগির। এর ফলে চার নম্বর প্লাটফর্মে ঢোকার পর রেলের ইঞ্জিনের সাথে ধাক্কা লাগে কংক্রিট স্লিপারের। এরপর ট্রেনের চালক ব্রেক কষে ট্রেন থামিয়ে দেন। এমারজেন্সি ব্রেক কষায় ট্রেনে তীব্র ঝাঁকুনি ও শব্দ হয়। এর ফলে তীব্র আতঙ্ক সৃষ্টি হয় যাত্রীদের মধ্যে।
এই দুর্ঘটনা কার গাফিলতির জন্য ঘটেছে সেই বিষয় রেল কর্তারা কোনও রকম মন্তব্য করতে চাননি। দুর্ঘটনার ফলে হাওড়া কাটোয়া লোকাল রাত এগারোটা পর্যন্ত দাঁড়িয়ে থাকে দাঁইহাট স্টেশনে। এরপর লাইনে পড়ে থাকা কমপ্লিট সরানো হয় পে লোডার দিয়ে। দাঁইহাট স্টেশন থেকে কাটোয়ার উদ্দেশ্যে এরপর ট্রেনটিকে রওনা করানো হয় রাত দশটা তিপ্পান্ন মিনিট নাগাদ।