বাংলা হান্ট ডেস্ক : ফের ভারতের অর্থব্যবস্থার (Indian Economy) জয়জয়াকার গোটা বিশ্বে। করোনার সময় থেকেই ধু্ঁকছে বিশ্ব অর্থনীতি। কোমর ভেঙে গেছে আমেরিকার (America)। হাঁসফাঁস করছে ব্রিটেনের (Britain) অর্থনীতি। সংকটে গোটা ইউরোপ। দেউলিয়া হয়ে গেছে শ্রীলঙ্কা (Shri Lanka)। আর্থিক সংকটে জেরবার পাকিস্তান (Pakistan)। তথৈবচ অবস্থা বাংলাদেশেরও। চিনের (China) অবস্থাও খুব একটা ভালো না।
এত খারাপ খবরের মধ্যেই ভালো খবর হল এই বিকট অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাব পড়বে না ভারতে। একের পর এক অর্থনৈতিক সমীক্ষা সংস্থার রিপোর্টে প্রকাশ্যে এসেছে খবর। ভারতীয় অর্থনীতির জয়জয়াকার করছে গোটা বিশ্ব। প্রথমে গোল্ডম্যান স্যাচ, পরে মার্জেন স্ট্যানলে, এবার এস এন্ড পি ও আত্মবিশ্বাস দেখাল ভারতের অর্থনৈতির উপর।
এস এন্ড পি রিপোর্টে জানিয়েছে আগামী তিন বছর ভারত থাকবে অপ্রতিরোধ্য। ভারতের সঙ্গে অর্থনৈতিক যুদ্ধে সামিল হওয়ার ক্ষমতা থাকবে না কারোর। জানা যাচ্ছে, আগামী ৩ বছর ভারতীয় অর্থনীতির বৃদ্ধি ঘটবে প্রায় ৬.৭ শতাংশ হারে। ভারতের অর্থনীতি বৃদ্ধির শতকরা হার থেকে হ্রাস পাবে চিনে অর্থনীতি বৃদ্ধির হার। চিনের অর্থনীতি বৃদ্ধি হ্রাস পাবে ৫.৫ থেকে ৫.২ শতাংশ।
এস এন্ড পি’র রিপোর্টে বলা হয়েছে ২০২৬ সালে ভারতের অর্থনীতির বৃদ্ধির হার হবে সর্বোচ্চ। এশিয়ার সবচেয়ে গতিশীল অর্থনীতি হয়ে উঠবে ভারত। শুধু ভারতই নয়, একই সঙ্গে ফিলিপিনস ও ভিয়েতনামের মতো ছোটো অর্থনীতিগুলিও অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে এগিয়ে যাবে। ২০২৩ থেকে ২০২৬ এর মধ্যে এক অনন্য মাত্রা পাবে সমগ্র এশিয়ার অর্থনীতি, যার নেতৃত্ব দেবে ভারত।
এস এন্ড পি’র রিপোর্টে আরও জানা যাচ্ছে আগামী ২ বছর মুদ্রাস্ফীতির হারেও যথেষ্ট পরিবর্তন হবে। ২০২৪ সালেই বেশ খানিকটা হ্রাস পাবে মুদ্রাস্ফীতি। এবং আগামী ২ বছরে মোট ৪.৫ শতাংশ মুদ্রাস্ফীতি হ্রাস পাবে।
খুবিই খারাপ সময় থাকবে চিনের জন্য। ভারতের অগ্রগতি বিদ্যুতের মত হলেও হ্রাস পাবে চিনের অর্থনীতি। চিনের অর্থনৈতিক বৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫.৫। কিন্তু বাস্তবে চিন অর্থনৈতিক বৃদ্ধি ঘটবে ৫.২ শতাংশ। যা ভারতের থেকে অনেকটাই কম।