বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বর্ষা আসতে না আসতেই সবজির দামে রীতিমতো আগুন। বাজারে গিয়ে চারটে টমেটো, আলু, পেঁয়াজ কিনতে রীতিমতো হাতে ছ্যাঁকা লাগছে মধ্যবিত্তর। এই দু সপ্তাহ আগেই যেখানে ৩০/৪০ টাকা কেজি দরে বিকিয়েছে হরেক রকম সবজি, আজকের দিনে দাঁড়িয়ে সেই সবজি কিনতে গিয়ে গুনতে হচ্ছে শতাধিক টাকা। সবজির এই মূল্যবৃদ্ধি (Price Rise) নিয়ে এবার রাজ্য তথা মুখ্যমন্ত্রীকে জোর আক্রমণ শানালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।
কিছুদিন আগে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে আয়োজিত ধরনার মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) প্রধানমন্ত্রীকে খোঁচা দিয়ে বলেছিলেন, ‘ওহে নন্দলাল, ১২০০ টাকার গ্যাসে ফুটছে বিনা পয়সার চাল।’ এবার সেই একই স্লোগান তুলে মমতার প্রতি খড়গহস্ত হলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক।
ঠিক কী বললেন বিরোধী দলনেতা? এদিন শুভেন্দু অধিকারী নিজের ফেসবুক থেকে লেখেন,”আরে ও নন্দলাল, গরীব মানুষের পাতে কি জুটবে শুধু নুনের সাথে মোদীজির দেওয়া বিনা পয়সার চাল?” “আগুনে বাজার! এক মাস পূর্বের বাজার দরের সঙ্গে বর্তমান বাজার দরের তফাৎ করলে বোঝা যাবে যে হাটবাজারে আগুন লেগেছে। চড়া দামের ছ্যাঁকায় বাঙালি নাজেহাল। অনাজের দাম নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্ত এমনকি উচ্চ মধ্যবিত্ত পরিবারের ও নাগালের বাইরে। এমনকি এ কথা বললে মোটেও বাড়াবাড়ি হবে না যে সব্জির দাম এই মুহূর্তে সর্বকালের রেকর্ড ভেঙ্গে দিয়েছে।”
শুভেন্দুর অভিযোগ, “জুন মাসের গোড়ায় যেখানে বেশিরভাগ সব্জির দাম চল্লিশ থেকে পঞ্চাশ টাকার মধ্যে ছিল তা আজ অবিশ্বাস্য ভাবে বেড়ে গেছে। টমেটোর প্রতি কেজির দাম ছিল ৩০ – ৩৫ টাকার মধ্যে। আদার প্রতি কেজির দাম ছিল ২৫০ টাকার আশেপাশে। বেগুনের দাম ছিল প্রতি কেজি ৪০-৫০ টাকা। পটলের কেজি প্রতি দাম ছিল ২৫-৩০ টাকা। উচ্ছের দাম ছিল ৫০ টাকার আশেপাশে। পেঁপের দাম ছিল ২৫ টাকা কেজি। কাঁচা লঙ্কার দাম ছিল ৬০-৭০ টাকা কেজি। পালং শাকের এক আঁটির দাম ছিল ১০ টাকা মত।”
প্রশাসনের দিকে আঙ্গুল তুলে তিনি আরও বলেন, “রুই-কাতলা (কাটা) মাছের প্রতি কেজিতে দাম পড়ছিল ২০০ টাকা থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে। মুরগি মাংসের দাম প্রতি কেজিতে ১৮০-২০০ টাকার মধ্যে ওঠানামা করছিল। প্রশাসনের তরফে যথাযথ ব্যবস্থা না নেওয়ার ফলেই আজ আনাজের দাম মাত্রা ছড়িয়ে গিয়েছে। আনাজের দাম নিয়ন্ত্রণ করার জন্য মুখ্যমন্ত্রী অনেক ঢাক ঢোল পিটিয়ে “টাস্ক ফোর্স” গঠন করেছিলেন, যার উদ্দেশ্য ছিল হঠাৎ করে বাজার হাটে শাক-সব্জির দাম বেড়ে গেলে তা নিয়ন্ত্রণ করা। কিন্তু আদতে এর প্রতিফলন কখনোই দেখা যায় না।” বিরোধী দলনেতার দাবি, “লোক দেখানো পদক্ষেপ গ্রহণ করে আনাজের দাম শুধুমাত্র “সুফল বাংলা” বিপণিতে কিছুটা কমিয়ে দিলে তার প্রভাব ৫ শতাংশ লোকের ওপরেও পড়ে না।”