বাংলা হান্ট ডেস্ক : পঞ্চায়েত নির্বাচনের আবহেই ফের উত্তপ্ত পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) রাজনীতি। সি ভি আনন্দ বোসের ( C V Anand Bose) কড়া পদক্ষেপে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। এবার উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের (North Bengal University) প্রাক্তন উপাচার্য ওমপ্রকাশের (Om Prakash Mishra) বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্তের নির্দেশ দিলেন রাজ্যপাল। ওমপ্রকাশ তৃণমূল নেতাও (Trinamool Congress Leader) বটে। তাঁকে উপাচার্য পদে নিয়োগ করেছিল রাজ্য সরকাই।
সেই ওমপ্রকাশের ৩ মাসের কার্যকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরাট অংকে অর্থের নয়ছয় এবং পরিচালন সংক্রান্ত একাধিক অভিযোগ প্রকাশ্যে আসে। এবার সেই সমস্ত অভিযোগ নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিলেন খোদ রাজ্যপাল আনন্দ বোস। তদন্তভার দেওয়া হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্যের হাতে। স্বাভাবিকভাবেই রাজ্যপালের এই পদক্ষেকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক তর্জা শুরু হয়ে গিয়েছে।
অনেক আগেই নিয়োগ দুর্নীতিতে যুক্ত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার হন উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য সুবীরেশ ভট্টাচার্য। তারপরই তাঁর জায়গায় দায়িত্ব নিয়ে আসেন ওমপ্রকাশ মিশ্র। নিয়োগ করেছিল রাজ্য সরকার। ছাড়পত্র দিয়েছিল খোদ রাজভবন। কিন্তু তাঁর মেয়াদকালে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ সামনে আসছে।
যা যা অভিযোগ সামনে এসেছে তার মধ্যে আর্থিক দুর্নীতিই অন্যতম। সেই সমস্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্তের নির্দেশ দিলেন রাজ্যপাল। এই বিষয়ে ওমপ্রকাশ মিশ্রর অবশ্য দাবি, ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণেই এই তদন্ত। কিছু বিষয় নিয়ে আমি মুখে খুলেছিলাম তাই আমার বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হল।’
এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে রাজ্যপালকে তোপ করেছেন তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন। তিনি বলেন, ‘রাজ্যপাল রাজ্য এবং রাজ্যের উচ্চ শিক্ষাদফতরকে এড়িয়ে অতি সক্রিয়তা দেখাচ্ছেন। যা একেবারেই উচিত নয়। বিজেপির হয়েই কাজ করছেন উনি।’
এর আগে, উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যের সঙ্গে বৈঠক করেন রাজ্যপাল। তখন সিভি আনন্দ বোসকে কালো পতাকা দেখান টিএমসিপি-র সদস্যরা। ওঠে গো-ব্যাক স্লোগানও। বিক্ষোভকারীদের দাবি, ‘মুখ্যমন্ত্রীকে কিছু না জানিয়ে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ করছেন রাজ্যপাল।’ তারপরই এই ঘটনা সেই বিতর্কেই ঘৃতাহুতি দিল বলে দাবি রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহলের।