বাংলা হান্ট ডেস্ক : আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election)। তার আগে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বাদবিতর্ক চলছে শাসক বিরোধী শিবিরের মধ্যে। এবার ভোটের বড় ইস্যু হতে চলেছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার (Lakshmi Bhandar)। এবার শাসক দলের তুরুকের তাস ঘিরেই তোলপাড় পরে গেল রাজ্যে। ইতিমধ্যেই শাসক ও বিরোধী উভয় পক্ষের মুখেই ভোটের আগে বার বার এই প্রসঙ্গেই শোনা গেল লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের কথা।
এবার এই নিয়েই তৃণমূল (TMC) বিধায়কের মন্তব্যে চরম বিতর্ক শুরু হয়েছে। ‘পঞ্চায়েতে বিরোধীরা জিতলে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ হয়ে যাবে’। বিধায়ক গৌতম পালের মন্তব্য ঘিরেই জোর বিতর্ক করণদিঘিতে।
পঞ্চায়েত ভোটকে কেন্দ্র করে প্রস্তুতি চলছে জোর কদমে। কোমর বেঁধে প্রচারের ময়দানে নেমে পড়েছে সমস্ত রাজনৈতিক দল। মূলত লক্ষ্মীর ভাণ্ডারকে সামনে রেখেই গ্রাম বাংলায় প্রচার চালাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। অপরদিকে শাসক দল জয়ী না হলে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার আর চালু থাকবে না এমন কথা বলে ভোটারদের সতর্ক করছে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীদের সমর্থকদের একাংশ।
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে এবার ভোটারদের হুঁশিয়ারি দিতে শোনা গেল উত্তর দিনাজপুরের করণদিঘির তৃণমূল বিধায়ক গৌতম পালকে। তাঁর পরিষ্কার হুঁশিয়ারি, তৃণমূলকে ভোট না দিলে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ হয়ে যাবে। এই সংক্রান্ত একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। তাতে এই সমস্ত বিতর্কিত কথা বলতে শোনা যাচ্ছে ওই বিধায়ককে।
গৌতম পাল এদিন বলেন, ‘একটা ভোটও নির্দল আর জোটকে দেবেন না। সিপিএম কংগ্রেসকে ভোট দেবেন না। কারণ তাদের ভোট দিলে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ হয়ে যাবে।’ ভিডিয়োতে তাঁকে আরও বলতে শোনা যায়, ‘সাগরদিঘিতে বায়রন বিশ্বাস কংগ্রেসের হয়ে জিতেছিলেন। কিন্তু তারপর লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ হয়ে গিয়েছিল বাধ্য হয়ে তিনি তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন।’ বিধায়কের বক্তব্য, তৃণমূল কংগ্রেস না থাকলে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারও থাকবে না।
বিধায়কের এই বক্তব্য প্রকাশ্যে আসতেই তৃণমূলকে পালটা নিশানা করেছে বিজেপি। দলের সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরী বলেন, ‘কোন জনপ্রতিনিধি এভাবে বলতে পারেনা যে কোনও সরকারি প্রকল্প চলবে কি চলবে না।’ তাঁর দাবি, তৃণমূল সরকারের লক্ষ্মীর ভাণ্ডার চালানোর ক্ষমতা নেই। তৃণমূল ভোটে জিতলে এমনিতেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ হয়ে যাবে। সুকান্ত মজুমদার নিজের ট্যুইটার অ্যাকাউন্টে এই ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন।এদিকে ভিডিও ভাইরাল হতেই সাধারণ মানুষের মধ্যেও শুরু হয়েছে শোরগোল। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ হোক চাইছেন না কেউ। স্বভাবতই ছড়াচ্ছে উদ্বেগ।