বাংলা হান্ট ডেস্ক : টানাপোড়েন চলছে মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে (Maharashtra Politics)। অজিত পাওয়ার (Ajit Pawar) এনসিপি (Nationalist Congress Party) ছেড়ে বিজেপি (Baharatiya Janata Party) যোগ দিয়েছেন। আর তার পর থেকেই একের পর এক চাঞ্চল্যকর খবর উঠে আসছে আরব সাগরের তীর থেকে। ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি প্রধান শরদ পাওয়ার (Sharad Pawar) সোমবার জানান, কংগ্রেস যদি চায় তাহলে বিরোধী দলের নেতা হিসাবে তার কোনও এমএলএ-কে নিয়োগ করতেই পারে।
হঠাৎ কেন এ কথা বললেন পাওয়ার তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়ে যায় জাতীয় রাজনৈতিক মহলে। এদিন সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে এনসিপি সুপ্রিমো বলেন, ‘যে দলের সর্বাধিক সংখ্যক বিধায়ক রয়েছে তারাই বিরোধী দলের নেতার পদ দাবি করতে পারে। আমার মতে, বর্তমানে কংগ্রেসের সংখ্যা সর্বাধিক। সেই অধিকারে তারা চাইলে বিরোধী দলনেতা নিয়োগ করতেই পারে।
পাওয়ার বলেন, ‘ওই ঘটনার পর অনেকেই আমাকে ফোন করেছিলেন। তাঁরা বলেছিলেন যে তাদের বেশিরভাগই এখনও এনসিপির মূল আদর্শ ও নীতিকে সমর্থন করেন। তাঁরা সঠিক সময়ে তাদের অবস্থান ঘোষণা করবেন।’ পাওয়ার আরও বলেন, ‘আমি এখানে কাউকে শক্তি দেখানোর জন্য ডাকিনি। শক্তি কখনও বাড়ে, আবার কখনও কমে। এর আগেও আমি এমন সমস্যার মুখোমুখি হয়েছি। ১৯৮০ সালে এর মুখোমুখি হয়েছি যখন আমার ৫৯ জন বিধায়কের মধ্যে মাত্র ৫ জন দলে ছিলেন। কিন্তু আমি হাল ছাড়িনি। আমি আমার দলের জন্য প্রচার করে গিয়েছি। যারা চলে গেছে তারা প্রত্যেকেই পরের নির্বাচনে হেরেছে।
শরদ পাওয়ার আরও বলেন কে ছেড়ে গেল এবং কে থাকল তা নিয়ে তিনি মোটেই চিন্তিত নন। তিনি বলেন, ‘আজ আমার সঙ্গে দেখা করতে আসা মোট লোকের প্রায় ৮০ শতাংশই যুবক। এই যুবকরা ধর্মনিরপেক্ষ মতাদর্শের জন্য কাজ করবে এবং সম্ভাব্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা করে মহারাষ্ট্রকে শক্তিশালী করবে।
প্রসঙ্গত ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি সোমবার অজিত পাওয়ার সহ আরও ৯ জন বিধায়ককে নির্বাসন দিয়েছে। ওই ৯ বিধায়ক ২ জুলাই একনাথ শিন্ডে এবং দেবেন্দ্র ফড়নবীস সরকারের মন্ত্রী হিসাবে শপথ গ্রহণ করেছিলেন। দল বিরোধী কার্যকলাপে জড়িত থাকার অপরাধে তাঁদের বহিষ্কার করে এনসিপি।
এদিন, দলের বরিষ্ঠ নেতা প্রফুল প্যাটেল এবং সাংসদ সুনীল তাতকরেকে পাশে নিয়ে পাওয়ার বলেন, ‘আমি সুনীল তাতকরেকে জাতীয় সাধারণ সম্পাদক এবং প্রফুল প্যাটেলকে কার্যকরী সভাপতি হিসাবে নিযুক্ত করছি।’