বাংলাহান্ট ডেস্ক : হড়পা বানের (Flash Flood) শিকার উত্তর প্রদেশ, উত্তরাখন্ড। হড়পা বনের ফলে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়েছে এই রাজ্যগুলোতে। এবার গোয়াতেও সেই হড়পা বানের অশনি সংকেত। তাহলে কি আসন্ন বিপর্যয় ভাসিয়ে দিতে চলেছে গোয়াকে? গোয়ার আবহাওয়া নিয়ে যৌথভাবে রিপোর্ট প্রকাশ করেছে ভূবিজ্ঞান এবং বিজ্ঞান মন্ত্রক এবং মৌসম ভবন।
যৌথভাবে দপ্তরগুলি জানিয়েছে, গোয়াতে যেকোনো সময় আসতে পারে হড়পা বান। সতর্ক করে আইএমডি বলেছে, হড়পা বান সৃষ্টি হতে পারে গোয়ার সমুদ্রপৃষ্ঠে। এরফলে তৈরি হতে পারে প্লাবন পরিস্থিতি। নিচু জমির মাটি ডুবে যাওয়ার প্রবল সম্ভবনা রয়েছে এতে। পাশাপাশি হড়পা বানের ফলে প্লাবনের আশঙ্কা রয়েছে উপকূলবর্তী রাজ্যের নিচু এলাকাগুলিতেও।
কর্নাটক, কেরালা এবং কঙ্কন উপকূলেও আসতে পারে হড়পা বান। গোয়া, কর্নাটক, কেরালায় বৃহস্পতিবারের জন্য জারি করা হয়েছে লাল সতর্কতা। অন্যদিকে গোয়াতে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে প্রবল বৃষ্টি। গোয়ার সাতটি এলাকায় গত ২৪ ঘন্টায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ১০০ মিলিমিটারেরও বেশি। এই বৃষ্টির ফলে চলতি মৌসুমে কিছুটা কমেছে বৃষ্টির ঘাটতি।
বর্তমানে বৃষ্টির ঘাটতি কমে দাঁড়িয়েছে ৪ শতাংশে। গত জুন মাসে এই ঘাটতি ছিল ১০%। একই সাথে বঙ্গোপসাগরের নতুন একটি ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির আশঙ্কা করা হচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে বঙ্গোপসাগরের উপকূল অঞ্চলে চলতি মাসেই আছড়ে পড়তে পারে নতুন একটি ঘূর্ণিঝড়। ঘূর্ণাবর্তের ফলে আগামী পাঁচ দিন দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগরে এই ঘূর্ণাবর্তের বর্তমান অবস্থান। এরফলে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশ ও উড়িষ্যাতে। উড়িষ্যার ৮ টি রাজ্যে হলুদ সতর্কতা জারি করেছে আইএমডি। ময়ূরভঞ্জ, কেওনঝড়, খান্দমহল, গঞ্জাম, গজপতি, রায়গড়, কোরাপুট এবং মালকনগিরি রয়েছে এই তালিকায়।