বাংলাহান্ট ডেস্ক : ‘আমায় ভাসাইলি রে, আমায় ডুবাইলি রে, অকূল দরিয়ার বুঝি কূল নাই রে…,’ পল্লীকবি জসীমউদ্দীন হয়তো বাংলাদেশের নদীর অপরূপ রূপ দেখে ডুবে যেতে চেয়েছেন তার লেখার মাধ্যমে। আর হবে নাই বা কেন! বাংলা তথা ভারতের বিভিন্ন প্রান্ত দিয়ে বয়ে চলেছে অসংখ্য নদ নদী। নদীমাতৃক দেশ ভারতের উন্নয়নের অন্যতম কান্ডারী এই নদী।
হিন্দু শাস্ত্র মতে ভারতের অনেক নদীকে পবিত্র হিসাবে গণ্য করা হয়। কিছু নদীকে পূজা করা হয় দেবী রূপে। অনেকে শাস্ত্র মতে গঙ্গা, যমুনা, নদীকে মাতৃ রূপেও পুজো করেন। তবে আপনি কি জানেন আমাদের ভারতবর্ষে রয়েছে একটি পুরুষ নদী? কি অবাক হচ্ছেন? আমাদের বেদে এমন একটি নদীর নাম রয়েছে যাকে পুরুষ নদী হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়।
এই নদীটি হল ব্রহ্মপুত্র। এই নদীকেই ভারতবর্ষের একমাত্র পুরুষ নদী বলা হয়। বেদ মতে ব্রহ্মপুত্র অর্থাৎ দেবতা ব্রহ্মের পুত্র। ব্রহ্মা ও অমোঘ পুত্র বলে মনে করা হয় এই ব্রহ্মপুত্র নদীকে। শান্তনুর স্ত্রী ছিলেন এই অমোঘ। হিন্দু ধর্ম ছাড়াও ব্রহ্মপুত্র নদীকে জৈন ধর্ম এবং বৌদ্ধ ধর্মের অনুগামীরাও পবিত্র মনে করেন। এই নদীটির উৎপত্তিস্থল তিব্বত।
বৌদ্ধ ধর্ম মতে একটা সময় এই নদীটি অত্যন্ত বিশাল হ্রদ ছিল। তিব্বত থেকে এই নদীটি প্রবেশ করেছে ভারতে। ভারত থেকে ব্রহ্মপুত্র চলে যায় বাংলাদেশ। তিব্বতে এই নদীর নাম ইয়ারলুং সাংপো। ভারতের দীর্ঘতম নদী এই ব্রহ্মপুত্র। এই নদীর ২৭০০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য রয়েছে ভারতে। এই নদীটি বাংলাদেশে প্রবেশ করলে এর নাম হয়ে যায় পদ্মা।