বাংলা হান্ট ডেস্ক: আমাদের দেশে গণপরিবহণের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হল ট্রেন (Train)। ভারতে প্রতিদিন হাজার হাজার ট্রেন চলাচল করে এবং সেগুলির ওপর ভর করেই যাত্রীরা পৌঁছে যান তাঁদের নিজেদের গন্তব্যে। এদিকে, আমাদের দেশে একাধিক ক্যাটাগরির ট্রেন রয়েছে। আর সেই ক্যাটাগরি অনুযায়ী ট্রেনগুলিকে ট্র্যাকে চলাচলের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়।
ইতিমধ্যেই রাজধানী এবং শতাব্দী এক্সপ্রেসের মত ট্রেনগুলি ভারতের টপ ক্যাটাগরির ট্রেনগুলির তালিকায় সামিল রয়েছে এবং এখন বন্দে ভারতও এই বিভাগে যুক্ত হয়েছে। ভারতীয় রেল রাজধানী এক্সপ্রেসকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়। কিন্তু, কিছু বিশেষ পরিস্থিতিতে এমন ট্রেন রয়েছে যেগুলি চলাচলের জন্য রাজধানীর মতো এক্সপ্রেসকে থামিয়েও প্রথমে ওই ট্রেনগুলিকে চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়। এমতাবস্থায় বর্তমান প্ৰতিবেদনে আমরা বিভিন্ন ট্রেনের অগ্রাধিকারের ক্রমের প্রসঙ্গটি বিস্তারিতভাবে উপস্থাপিত করব।
উল্লেখ্য যে, দুর্ঘটনা ত্রাণ চিকিৎসা সরঞ্জাম ট্রেন (Accident Relief Medical Equipment / ARME) দুর্ঘটনার সময়ে দুর্ঘটনাস্থলে চিকিৎসা সহায়তা প্রদানের জন্য ব্যবহৃত হয়। এই ট্রেনটিকে অন্য সব ট্রেনের চেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। এমনকি, এর আগে যদি রাজধানী বা শতাব্দীর মতো ট্রেনও চলতে থাকে, তাহলে সেগুলিকে থামিয়ে এই ট্রেন যাওয়ার জন্য পথ করে দেওয়া হয়। সেই কারণে এটি ভারতীয় রেলের High Priority বিশিষ্ট ট্রেন।
পাশাপাশি, দেশের রাষ্ট্রপতির ব্যবহৃত ট্রেনটিও উচ্চ অগ্রাধিকার পায়। সামনে চলা সব ট্রেন থামিয়ে ওই ট্রেনকে পথ করে দেওয়াটাই নিয়ম রয়েছে। কিন্তু, এখানে লক্ষণীয় বিষয় হল, রাষ্ট্রপতি এখন ট্রেনের চেয়ে আকাশপথেই বেশি ভ্রমণ করেন। যেই কারণে এখন এই ট্রেনের কার্যক্রম প্রায় অস্তিত্বহীন হয়ে পড়ছে।
এদিকে, যদি আমরা সাধারণ যাত্রীদের জন্য ব্যবহৃত ট্রেনগুলির কথা বলি, সেক্ষেত্রে রাজধানী এক্সপ্রেস হল সবচেয়ে উচ্চ অগ্রাধিকারের ট্রেন। সব ট্রেন থামিয়ে এই ট্রেনকে রাস্তা দেওয়া হয়। এই ট্রেনটি সঠিক সময়ে পৌঁছনোর জন্য এবং এর বিলাসবহুল সুবিধার জন্যও পরিচিত।
রাজধানীর পর শতাব্দী এক্সপ্রেসকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়। এই ট্রেনটিও সুপারফাস্ট ট্রেনের মধ্যে গণনা করা হয়। এই ট্রেন একদিনের মধ্যেই তার নির্ধারিত যাত্রা শেষ করে। পাশাপাশি দুরন্ত এক্সপ্রেসও দূরপাল্লার একটি ট্রেন। এটি ২০০৯ সালে চালু হয়েছিল। রাজধানী এবং শতাব্দী ছাড়া, দুরন্ত এক্সপ্রেসকেও অগ্রাধিকার দেওয়া হয়।
এছাড়াও, তেজস এক্সপ্রেস একটি সেমি-হাইস্পিড ফুল AC ট্রেন। রাজধানী, শতাব্দী এবং দুরন্তের পরে অগ্রাধিকার ক্রমানুসারে এই ট্রেনটি থাকে। এদিকে, গরীব রথ এক্সপ্রেস ২০০৫ সালে চালু হয়েছিল। এটিও একটি সম্পূর্ণ AC ট্রেন। এই ট্রেনটি যাত্রীদের কম দামে উন্নত সুবিধা দেওয়ার জন্য চালু করা হয়েছিল। এই ট্রেনটি অগ্রাধিকারের ক্রমানুসারে সপ্তম স্থানে রয়েছে।