পড়াশোনা করিয়ে নার্স বানানোই হল কাল! দিনমজুর স্বামীকে বাচ্চা, সম্পত্তি ভুলে যেতে বললেন স্ত্রী

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ এ যেন কোন সিনেমার গল্প। অশিক্ষিত স্বামী তার স্ত্রীকে শিক্ষিত করে তুলতে নিজের সর্বস্ব খুইয়ে বসেন। শেষে সেই স্ত্রীই ছুঁয়ে ফেলে দেয় তার স্বামীকে। কিছুদিন আগেই উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজ থেকে এমনই এক হৃদয়বিদারক ঘটনা সামনে এসেছিল। আর এবার সেই ছায়া পড়ল ঝাড়খন্ডেও। একইরকম ঘটনার সম্মুখীন হলেও ঝাড়খন্ডের সাহেবগঞ্জ জেলার এক যুবক।

স্ত্রীকে শিক্ষিত করে তুলতে নিজের সর্বস্ব খুইয়েছেন তিনি। এবং চাকরি পাওয়ার পর সেই স্ত্রী সন্তান ও জমির কাগজপত্র নিয়ে পালিয়ে যায়। পলাতক মহিলার দাবি, সন্তান যখন তার কাছে তখন সম্পতির দাবিদারও তিনি। বিষয়টি নিয়ে সাহেবগঞ্জ জেলার বোরিও থানার দ্বারস্থ হয়েছেন বাঞ্ঝি গ্রামের বাসিন্দা কানাই পন্ডিত।

কানই পণ্ডিত পুলিশকে জানিয়েছেন, ২০০৯ সালে কল্পনা কুমারীর সঙ্গে তার বিয়ে হয়। কল্পনা তেলোবাথান থানার অন্তর্গত বোরিওর বাসিন্দা। বিয়ের পর স্বামী-স্ত্রী দুজনেই একে অপরকে খুব ভালোবাসতেন এবং বেশ ভালোই সংসার করছিলেন তারা। ১০ বছরের এক সন্তানকে নিয়ে সুখী গৃহকোণ ছিল তাদের।

অভিযোগকারীর দাবি, গত ১৪ এপ্রিল তার স্ত্রী কল্পনা কুমার তার সন্তানকে নিয়ে বাবার বাড়ি তেলোবাথানে যান। রাত হয়ে গেলেও স্ত্রী ফিরে না আসায় তিনি ফোন করেন। মোবাইল বন্ধ আসায় তিনি ফোন করেন কল্পনার ভাই ধর্মেন্দ্র পণ্ডিতকে। তিনি জানান, কল্পনা তো ফিরে গিয়েছে দুপুর আড়াইটার দিকে। এমতাবস্থায় স্ত্রীয়ের কোন খোঁজ না পাওয়ায় বোরিও থানায় স্ত্রী ও সন্তান নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের করেন কানাই।

অভিযোগকারীর দাবি, পুলিশের পক্ষ থেকে কোনো ব্যবস্থা না নিলে তিনি সাহেবগঞ্জ আদালতে সপরিবারে মামলা করেন। গত ৬ জুন এসডিপিও অফিসে ডাকা হয় কানাইকে। জানা যায় তার স্ত্রী নিখোঁজ নয়, বরং স্বেচ্ছায় বাড়ি ছেড়েছেন। কারণ তিনি এখন আর তার অশিক্ষিত স্বামীর সাথে থাকতে চাননা। এমনকি তারমধ্যেই কানাইকে অন্যত্র বাসস্থান খোঁজারও পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

kalpana kanhai 1688742665

সূত্রের খবর, সদ্যই জামশেদপুরের একটি বেসরকারি কলেজে এএনএম ডিগ্রি পেয়েছেন কল্পনা। স্ত্রীকে এএনএম-এ পড়াশুনা করানোর কারণে বেশ মোটা অঙ্কের ঋণ চাপে কানাইয়ের উপর। অধিক উপার্জনের জন্য তিনি পাড়ি দেন গুজরাটের উদ্দেশ্যে। আর তাতেই ঘটে বিপত্তি। সময়ের সাথে সাথে বদলে যায় স্ত্রী-র মন। ভিকটিম কানাই পণ্ডিত জানিয়েছেন, কল্পনা জামশেদপুর থেকে পড়াশোনা করে ফিরে আসার পর সাহেবগঞ্জের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে কাজ শুরু করেন। তার আশঙ্কা, সেখানেই কোন বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছেন তার স্ত্রী। আর তার জেরেই এই ঘটনা। আপাতত বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

Moumita Mondal
Moumita Mondal

মৌমিতা মণ্ডল, গ্র্যাজুয়েশনের পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। বিগত ৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে লেখালেখির সাথে যুক্ত। প্রায় ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর