বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্যজুড়ে পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Poll 2023)। নির্বাচন বললে খানিক ভুল, বলতে হয় পঞ্চায়েত দামামা! দিক দিক থেকে সংঘর্ষের চিত্র। এখনও পর্যন্ত পঞ্চায়েতের বলি ২৮। চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে রাজ্যের সাধারণ মানুষ। এরই মধ্যে নন্দীগ্রামবাসীর কাতর আর্জির চিত্র প্রকাশ্যে এল। কী হয়েছে সেখানে? শুভেন্দু গড় নন্দীগ্রামে (Nandigram) পুলিশের পা জড়িয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central Force) আনার দাবি ভোটারদের।
শনিবার সকাল ৭টায় ভোট শুরু হলেও, এই বুথে এখনও পর্যন্ত শুরু হয়নি ভোটগ্রহণ। নিরাপত্তা চাই, তবেই হবে ভোট! এই দাবিতে পুলিশকে ঘিরে চলছে বিক্ষোভ। নন্দীগ্রাম ১ নম্বর ব্লকের তারাচাঁদবাড় গ্রামে ৬৭ এবং ৬৮ নম্বর বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী না থাকায় ভোট পক্রিয়া শুরু করবেন না বলে জানিয়ে দিলেন গ্রামবাসীরা।
জানা যাচ্ছে, হিংসা-অশান্তির ভয়ে আতঙ্কিত পুলিশ কর্মীরা বুথ থেকে কিছুটা দূরে একটি ঘরে আশ্রয় নিয়েছেন। ভোট কেন্দ্রের কিছুটা দূরে দাঁড়িয়ে সিভিক ভলান্টিয়ার। দেখা নেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর। আর এই অবস্থাতেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিতে পুলিশের পায়ে পড়লেন ভোটাররা। পা জড়িয়ে কাতর আর্জি।
রাজ্য নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, পূর্ব মেদিনীপুরে মোট ৫৬ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে কোথায় সেই বাহিনী! বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর কোনও জওয়ান উপস্থিত নেই বলে অভিযোগ। এর জেরে পুলিশকর্মীদের ঘেরাও করে তুমুল বিক্ষোভ দেখালেন গ্রামবাসীরা।
ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েতের মোট ৬০ হাজার ৫৯৩টি বুথে ভোটগ্রহণ। আর সেই গ্রাম বাংলার ভোট ক্রমশ্যই রূপ নিচ্ছে বিভীষিকার। ভোটের দিন ঘোষণার পর থেকেই উত্তপ্ত বাংলা, চলছে হিংসা। আর ভোটের দিনে এসেও সেই ধারা অব্যাহত। গতকাল রাত থেকে ভোট সন্ত্রাসের জেরে প্রাণ গেল ৯ জনের! আর গত ৩০দিনে মৃত্যু বেড়ে ২৮।