এবার কি রাজ্যে ৩৫৫ ধারা? রাজ্যপালের তৎপরতা ঘিরে তীব্র হচ্ছে জল্পনা

বাংলা হান্ট ডেস্ক : রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose) বিগত কয়েক দিন ধরেই পালন করেছেন ‘গ্রাউণ্ড জিরো’র ভুমিকা। রাজভবনে তৈরি হয়েছে পিস রুম। নির্বাচনের হিংসায় (Violence in Panchayat Election) নিহতের পরিবারকে চোখের জলে জানিয়েছেন সমবেদনা। বারবার আক্রমণাত্মক রূপে ধরা দিয়েছেন তিনি।

এরপরই প্রবল ভাবে উঠে এসেছে ৩৫৫ ধারা লাগুর দাবি। কী করবেন রাজ্যপাল? সহমর্মিতা দেখাবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি? নাকি ৩৫৫ ধারার চাবুক নামিয়ে আনবেন ‘অবাধ্য রাজ্য সরকার’কে শাসন করতে? এটিই এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন চিহ্ন বাংলার বুকে।

দিকে দিকে গন্ডগোল! মনোনয়ন পর্ব থেকে যে অশান্তি শুরু হয়েছে তা চলছে এখনও। গত ২৪ ঘন্টায় রাজ্য জুড়ে প্রাণ হারিয়েছেন জনা দশেক মানুষ। পুরো পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election) উপলক্ষে নিহতর সংখ্যা ৩০ ছুঁইছুঁই। রাস্তায় নামতে হয়েছে স্বয়ং রাজ্যপালকেও। বাংলার অবস্থা দেখে চোখের জলও ফেলতে হয়েছে সিভি আনন্দ বোসকে (C.V. Ananda Bose)। এই অবস্থা উঠে আসছে রাজ্যে ৩৫৫ ধারা (Article 355) প্রয়োগের দাবি।

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে এই মুহুর্তে বিরাট সম্ভাবনা রয়ে রাজ্যে ৩৫৫ অথবা ৩৫৬ ধারা লাগু হওয়ার। কেন্দ্র তৈরিই রয়েছে, শুধু রাজ্যপালের ইশারার অপেক্ষা। এমনই মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহলের।

election violence in panchayat

গতকাল খড়গ্রামের নিহত কংগ্রেস কর্মী ফুলচাঁদ শেখের বাড়িতে যান রাজ্যপাল। তারপর তিনি নবগ্রামের আরও এক নিহত রাজনৈতিক কর্মীর বাড়িতেও যান এদিন। নিহতদের পরিবারকে সাহায্যের আশ্বাস দেন। সেখান থেকে ফেরার সময়েই রাজ্যপাল সাংবাদিকদের একাধিক প্রশ্নের জবাব দেন।

এই ভাবে রাজ্যপালের অশান্তিপ্রবণ এলাকা ঘুরে ঘুরে নিগৃহীতের সঙ্গে কথা বলার ঘটনাকে কটাক্ষ করছে তৃণমূল। এই প্রসঙ্গে প্রশ্ন করতে রাজ্যপাল বলেছিলেন, ‘কাল আমি রাস্তায় থাকব। মানুষের স্বার্থের জন্য থাকব। এই পিস রুম আগের রাজভবনের পিস রুমের মতো নয়। আমি রাস্তায় থাকব আমার অ্যাকশন নিয়ে। মানুষের জন্য।’

নিজের কথামতই ময়দানে নেমেছেন রাজ্যপাল। তবে তিনিও পারছেন হিংসা থামাতে। বিরোধী পক্ষ থেকে দাবি উঠছে ৩৫৫ ধারা লাগুর। পুরোটাই নির্ভর করছে রাজ্যপালের উপর। তবে রাজ্যের যা পরিস্থিতি তাতে ৩৫৫ ধারা লাগু হলে অবাক হওয়ার কিছু নেই বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।


Sudipto

সম্পর্কিত খবর