পঞ্চায়েতে অবাধ সন্ত্রাস! হাইকোর্ট, বিরোধীদের পর এবার BSF-র রোষের মুখে রাজীব সিনহা

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ হাইকোর্ট, বিরোধী আর এবার কেন্দ্রীয় বাহিনীর তোপের মুখে রাজ্য নির্বাচন কমিশন (State Election Commission)। নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে চরম অসহযোগিতার অভিযোগ সেন্ট্রাল ফোর্সের (Central Security Force)। পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Vote) কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের যাতে সঠিক ভাবে হয় সেই নিয়ে বিএসএফের আইজি পদ মর্যাদার অফিসার সতীশচন্দ্র বুদোকোটিকে ফোর্স কো-অর্ডিনেটর করা হয়েছিল। এবার সেই বিএসএফ কর্তাই কমিশনের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে সরব।

এদিন দুপুরে নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহাকে চিঠি লিখে বিএসএফ কর্তার অভিযোগ, আদালতের নির্দেশ মানেনি কমিশন। উল্টে হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে তাদের সঙ্গে চূড়ান্ত অসহযোগিতা করেছে কমিশন। অভিযোগ, শনিবার ভোট শুরু হয়ে যাওয়ার পরেও স্পর্শকাতর বুথের তালিকা কেন্দ্রীয় বাহিনীকে দেয়নি রাজ্য। এই একটি কারণেই স্পর্শকাতর বুথে বাহিনী মোতায়েন করা যায়নি বলে বিস্ফোরক অভিযোগ।

কমিশনকে পাঠানো চিঠিতে বিএসএফ কর্তার দাবি, “৬ জুলাই বৈঠকের পর গত ৬ জুলাই আপনি শুধু জেলাওয়াড়ি স্পর্শকাতর বুথের একটা তালিকা দিয়েছিলেন। কিন্তু কোন ব্লক, কোন পঞ্চায়েত, বুথ নম্বর কত তার কোনও বিবরণ দেওয়া হয়নি। তা না পেলে স্পর্শকাতর বুথে বাহিনী মোতায়েন করা আমাদের অসম্ভব।” আরও বলা হয়েছে, “মৌখিক ও লিখিতভাবে জানানোর পরেও আমরা স্পর্শকাতর বুথ সম্পর্কে বিশদ তথ্য পাইনি। সে কারণেই স্পর্শকাতর বুথে বাহিনী মোতায়েন করতে পারিনি। এতে আদালতের নির্দেশের অবমাননা হল।”

অন্যদিকে, দেরী না করে বিএসএফ কর্তাকে পাল্টা চিঠি দিয়েছেন রাজীব সিনহা। সেখানে লেখা হয়েছে, “স্টেট নোডাল অফিসার তথা ফোর্স কো-অর্ডিনেটরের সঙ্গে কমিশন প্রথম থেকেই সহযোগিতা করে এসেছে। নিয়মিত ভাবে আলোচনা করা হয়েছে।” কমিশন আরও লিখেছে, বাহিনী কর্তাদের সঙ্গে জেলাওয়াড়ি স্পর্শকাতর বুথ নিয়ে ৫ জুলাইয়ের বৈঠকেই আলোচনা হয়ে গিয়েছিল। এরপর ফের ৭ তারিখ কমিশনের তরফে হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজে বিএসএফের ডেপুটি কমান্ডান্ট নিজামুদ্দিনকে স্পষ্ট ভাবেই জানানো হয়, স্পর্শকাতর বুথের বিবরণ জেলা প্রশাসনের কাছে রয়েছে। লোকাল অফিসার যেন সেই তালিকা সংগ্রহ করে নেন।

rajiv sinha vote

জানিয়ে রাখি আজ দুপুরে বিএসএফ কর্তার চিঠি যখন কমিশনের কাছে পৌঁছয় ততক্ষণে পঞ্চায়েতের বলি ৭। অনেকের মতে আজকের এই অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগের ঘটনায় যে একটি বিষয় পরিষ্কার তা হল, টানা এক মাস ধরে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিতে যে টালবাহানা হল তার সবটাই বৃথা। পর্যবেক্ষকদের মতে হতে পারে নির্বাচন কমিশন ইচ্ছে করেই সরাসরি স্পর্শকাতর বুথের তালিকা দেয়নি। সবশেষে বলা যায়, এত আইনি লড়াইয়ের পর যে কেন্দ্রীয় বাহিনী রাজ্যে এল তা কোনও উপকারেই লাগল না।


Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর