বাংলাহান্ট ডেস্ক : রাজনৈতিক ও ঐতিহাসিক দিক থেকে দিল্লির গুরুত্ব অপরিসীম। কয়েকশো বছর আগে থেকেই দিল্লি শাসকদের অন্যতম আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। এই দিল্লির বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে ঐতিহাসিক নিদর্শন। কুতুব মিনার, জামে মসজিদ, লাল কেল্লার (Red Fort) মতো ঐতিহাসিক স্থাপত্যগুলো আজও পর্যটকদের আকর্ষণ করে।
দিল্লির এই ঐতিহাসিক নিদর্শনগুলো একটিবার চাক্ষুষ করার জন্য দেশ-বিদেশ থেকে পর্যটকরা এখানে আসেন। দিল্লির ঐতিহাসিক স্থাপত্যগুলির অন্যতম হল লাল কেল্লা। পর্যটকদের কাছেও লাল কেল্লা অত্যন্ত জনপ্রিয়। এই লাল কেল্লা থেকেই মুঘলরা ২০০ বছর গোটা ভারতে শাসন করেছিল। বেলে পাথর দিয়ে নির্মিত এই লাল কেল্লা বিশ্বের অন্যতম পুরনো ও প্রসিদ্ধ একটি স্থাপত্য।
লালকেল্লা নির্মাণ করতে সময় লেগেছিল প্রায় ১০ বছর। ১৬৩৮ সালে লাল কেল্লার নির্মাণ শুরু হয়। ১৬৪৮ সাল পর্যন্ত চলে নির্মাণ কাজ। সেই সময় এই দুর্গটি তৈরি করতে মুঘলরা কোটি কোটি টাকা খরচ করেছিল। তবে জানলে অবাক হবেন মুঘল আমলে এই কেল্লাটির নাম ছিল কিলা-ই-মুবারক। অনেকেই হয়তো জানেন না লাল কেল্লা পূর্বে সাদা রঙের ছিল।
মুঘল শাসক শাহজাহান যখন সিদ্ধান্ত নেন আগ্রা থেকে দিল্লিতে তাঁর রাজধানীর স্থানান্তরিত করবেন, তখন তিনি এই কেল্লাটি নির্মাণ করেন। ব্রিটিশ শাসকরা এই লালকেল্লা দখল করার পর সেটির রং সাদা থেকে লালে রূপান্তরিত করেন। সারা বছরই লাল কেল্লায় পর্যটকদের ভিড় দেখা যায়। তবে সেপ্টেম্বর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত এখানে যাওয়ার আদর্শ সময়।
সকাল ৯:৩০ মিনিট থেকে বিকাল ৪:৩০ মিনিট পর্যন্ত পর্যটকরা লালকেল্লায় প্রবেশ করতে পারেন। লালকেল্লায় প্রবেশের জন্য টিকিট কাটতে হয় পর্যটকদের। ভারতীয়দের জন্য টিকিট মূল্য ৩৫ টাকা ও বিদেশীদের জন্য টিকিট মূল্য ৫০০ টাকা। দিল্লির চাঁদনী চক মেট্রো স্টেশন থেকে খুব কাছে লাল কেল্লা। এছাড়াও দিল্লির বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বাসে করে আপনি পৌঁছে যেতে পারেন ঐতিহাসিক এই স্থাপত্যে।