মন্দিরের বাইরে থেকে চুরি গেল জুতো! পুলিশে FIR যুবকের, বললেন ‘সৎ পথে উপার্জনের টাকায় কেনা”

বাংলা হান্ট ডেস্ক: আমরা কেউ যখনই মন্দিরে (Temple) যাই তখন একটা কথা সকলেরই মাথায় আসে, ‘বাইরে রাখা চপ্পল (Sandal) চুরি হয়ে যাবে না তো?’ এরকম ঘটনার সম্মুখীন হননি এমন মানুষ খুব কমই আছে। তবে এই চপ্পল চুরির ঘটনায় কেউ এফআইআর (FIR) করতে পারে বলে ভেবেছেন কেউ? সম্প্রতি এমনই এক অবাক করা ঘটনার সাক্ষী থাকলো উত্তরপ্রদেশের কানপুর।

সূত্রের খবর কানপুরের ঐ বাসিন্দার নাম কান্তিলাল নিগম। প্রতি রবিবার স্থানীয় ভৈরব বাবার মন্দিরে যাওয়া তার ছোটবেলার অভ্যাস। গত রবিবার সেই মন্দিরে পুজো দিয়ে বেরিয়ে দেখেন নতুন জুতো জোড়া গায়েব। বিষয়টা মেনে নিতে না পেরে তিনি সঙ্গে সঙ্গে পুলিশের কাছে এফআইআর করেন। এফআইআরের বয়ানে লিখেছেন, ‘‘সৎ পথে উপার্জন করে জুতো কিনেছিলাম।’’

জানা গেছে কান্তিলাল একটি ইলেকট্রনিক সংস্থায় কাজ করেন। দীর্ঘদিন ধরে ঐ স্থানীয় মন্দিরে তার যাতায়াত। তবে এত বছরেও এরকম ঘটনার সম্মুখীন হননি কখনোই। তবে গত রবিবার পুজো দিয়ে বেরিয়ে দেখেন তার নীল রঙের নতুন জুতো জোড়া গায়েব। চোরের জ্বালায় অতিষ্ঠ হয়ে সোজা পৌঁছে যান পুলিশের কাছে।

তবে এখন জুতোজোড়ার চেয়েও বেশি চর্চায় চলে এসেছে কান্তিলালের বয়ান। এফআইআর কপিতে তিনি স্পষ্ট করে লিখেছেন, সৎ পথে উপার্জন করা টাকায় ওই জুতো জোড়া কিনেছিলেন। মন্দিরে পুজো দিয়ে ফিরে সেই জুতো আর খুঁজে পাচ্ছেন না। তার দাবি, নিশ্চয় কারো নজর ছিল তার জুতোর প্রতি। পুলিশ যেন যথাযথ তদন্ত করে তার জুতো ফিরিয়ে আনে।

1200 675 18955156 thumbnail 16x9 hiraeth 4

কান্তিলাল কথায়, ‘‘আমি দু’দিন আগেই নতুন চপ্পল কিনেছিলাম। নীল রঙের ওই চপ্পল আমার খুবই পছন্দের। আমি প্রতি রবিবারই ভৈরব বাবার মন্দিরে পুজো দিতে আসি। আজ পুজো দিয়ে বেরিয়ে দেখি নতুন জুতো জোড়া নেই। অথচ আশপাশে আরও বহু জুতো পড়েছিল। চোর সে সব কিছুই নেয়নি। নিশ্চয় আমার জুতোর উপর কারো নজর ছিল। তাই মনে হয়, আমারটাই চুরি করে নিয়ে গিয়েছে। সেই কারণেই আমি এফআইআর করেছি। পুলিশ আমার নতুন জুতো খুঁজে দিক।’’

inshot 20230709 163010368

এই প্রসঙ্গে স্থানীয় পুলিশের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা বলেন, ছোট-বড় যে কোনো বিষয়ে মামলা দায়ের করা সবার অধিকার। ভুক্তভোগীর কাছ থেকে স্লিপারের রশিদ চাওয়া হয়েছে। চোরকে খুঁজে বের করার পূর্ণ চেষ্টা করা হবে। এখন কান্তিলালের জুতো পাওয়া যায় কী না তা জানার জন্য অপেক্ষা তো করতেই হবে।

ad

Moumita Mondal
Moumita Mondal

মৌমিতা মণ্ডল, গ্র্যাজুয়েশনের পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। বিগত ৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে লেখালেখির সাথে যুক্ত। প্রায় ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর