ভারতের এই রেল স্টেশনে যাত্রীদের বিনামূল্যে দেওয়া হয় ভরপেট খাবার! নামটি জানলে অবাক হবেন

বাংলা হান্ট ডেস্ক: আমাদের দেশে যত দিন এগোচ্ছে ততই বৃদ্ধি পাচ্ছে রেলের (Indian Railways) যাত্রীসংখ্যা। এমনিতেই ভারতের গণপরিবহণের মাধ্যমগুলির মধ্যে ট্রেন একটি বিশেষ স্থান অধিকার করে রয়েছে। প্রতিদিনই লক্ষ লক্ষ মানুষ ট্রেনে চেপেই পৌঁছে যান নিজেদের গন্তব্যে। দূরের কোনো সফর হোক কিংবা কাছের কোনো গন্তব্য প্রতিটি ক্ষেত্রেই রেলপথের উপর ভরসা করেন অধিকাংশজন।

এছাড়াও সবথেকে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, অন্যান্য গণপরিবহণের তুলনায় রেলপথে যাতায়াতের ক্ষেত্রে খরচের পরিমাণও হয় অনেকটাই কম। আর সেই কারণেই ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে রেলের যাত্রীসংখ্যা। এদিকে, বিশ্বের চতুর্থ সবথেকে বড় রেল নেটওয়ার্ক ভারতেই রয়েছে।

এমতাবস্থায়, আমরা প্রত্যেকেই ট্রেনে কম-বেশি যাতায়াত করলেও ভারতীয় রেলের এমন কিছু চমকপ্রদ বিষয় রয়েছে যেগুলি সম্পর্কে অনেকেই জানেন না। সেই রেশ বজায় রেখেই বর্তমান প্রতিবেদনে আজ আমরা দেশের এমন একটি রেল স্টেশনের বিষয়ে আপনাদের জানাবো যেখানে যাত্রীদের বিনামূল্যে দেওয়া হয় ভরপেট খাবার।

হ্যাঁ বিষয়টি শুনে, অবিশ্বাস্য মনে হলেও এটা কিন্তু একদমই সত্যি। এদিকে এই বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত হওয়ার পরেই স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠবে যে এই স্টেশনটি ঠিক কোথায় অবস্থিত রয়েছে? এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে ভারতীয় রেলের এই স্টেশনটি হরিয়াণাতে গেলে মিলবে। যেটির নাম হল চরখী দাদরী (Charkhi Dadri)।

এই সেই স্টেশন যেখানে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে খাবার পাওয়া যায়। মূলত, সহায়সম্বলহীন এবং অভুক্ত মানুষদের মুখে বিনামূল্যে ভরপেট খাবার তুলে দেওয়া হয় এই স্টেশনে। জানা গিয়েছে, বিগত ৬৩ বছর ধরে এখানে এইভাবেই বিনামূল্যে খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে জানিয়ে রাখি যে, খাবারের এই ব্যবস্থা কিন্তু ভারতীয় রেলের তরফে নয় বরং “রামা সেবা দল সমিতি”-র পক্ষ থেকে করা হয়।

This railway station in India offers free full meals to passengers

এমতাবস্থায়, যাঁরাই এই স্টেশনে অভুক্ত অবস্থায় আসেন তাঁদের জন্য ভরপেট খাবারের ব্যবস্থা করা হয়। আর এই মহতী কাজের জন্য না হয়না কোনো অর্থ। এই অভিনব বৈশিষ্ট্যের কারণেই খবরের শিরোনামে উঠে এসেছে হরিয়াণার এই চরখী দাদরী স্টেশনটি।


Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর