বাংলাহান্ট ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Election) বাংলা জুড়ে সন্ত্রাসের পরিবেশ দেখার পর গতকাল ১১ জুলাই ছিল গণনা পর্ব। গণনা শেষে দেখা গিয়েছে, গ্রাম বাংলায় এগিয়ে রয়েছে তৃণমূলই (Trinamool Congress)। বিভিন্ন জায়গায় উড়েছে সবুজ আবির। কিন্তু অভিযোগের আঙুল নামছে না শাসক দলের দিক থেকে। এবার তৃণমূল বিধায়ক লাভলি মৈত্রের (Lovely Maitra) বিরুদ্ধে উঠল গুরুতর অভিযোগ।
মঙ্গলবার রাতে দলবল নিয়ে গণনাকেন্দ্রে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে লাভলির বিরুদ্ধে। জোরজবরদস্তি গণনাকেন্দ্রে ঢুকে নাকি বিজেপি প্রার্থী এবং এজেন্টদের মারধোর করেন তিনি। পুলিশের নিষ্ক্রিয়তারও অভিযোগ উঠেছে।
সোনারপুর দক্ষিণের বিধায়ক লাভলি মৈত্র। তাঁর বিরুদ্ধে বাম এবং বিজেপির অভিযোগ, মঙ্গলবার রাতে গণনাকেন্দ্রে ঢুকে তিনি গুণ্ডা নিয়ে মারধোর করেছেন প্রার্থী এবং এজেন্টদের। কালিকাপুর ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপি প্রার্থী বাসুদেব নস্কর অভিযোগ করেন, তিনি ২০০ ভোটে তৃণমূলের থেকে এগিয়ে ছিলেন। হঠাৎ করেই লাভলি গণনাকেন্দ্রে ঢুকে পড়েন।
এজেন্টদের মারধোর করে বাইরে বের করে দেওয়া এবং বিজেপি প্রার্থীকে ঢুকতে না দেওয়ার অভিযোগ জানানো হয়েছে। একই অভিযোগের সুর দক্ষিণ ২৪ পরগণা পূর্বের বিজেপি জেলা সভাপতির। বিজেপি জিতছে বলে তাদের প্রার্থীদের আটকে রাখার অভিযোগ করেছেন তিনি। সেই সঙ্গে পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার কথাও উল্লেখ করেছেন। লাভলি মৈত্র সার্টিফিকেট ছিঁড়ে ফেলছেন বলে দাবি করেছেন জেলা সভাপতি।
অন্যদিকে লাভলির দাবি, তিনি লাঙলবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ভোটার। তাছাড়া নির্বাচনী এজেন্ট হিসেবেই তিনি গণনাকেন্দ্রে ঢুকেছিলেন বলে দাবি করেছেন তৃণমূল বিধায়ক। তাঁর কথায়, গ্রাম বাংলার মানুষ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপরে আবারো ভরসা রেখেছেন। বিরোধীরা জিততে পারেনি বলে ভিত্তিহীন অভিযোগ করছে বলে দাবি লাভলি মৈত্রের।
গণনা শেষে ভোটারদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন লাভলি। তৃণমূলকে জেতানোর জন্য ধন্যবাদ দিয়ে তিনি ভবিষ্যতে আরো উন্নয়নের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন।