বাংলা হান্ট ডেস্ক : গ্রামে জিতেছে বিজেপি (Bharatiya Janata Party)৷ ভোটের দিন বিজেপি কর্মীদের রান্নাবান্না করে খাওয়ানোর অপরাধ। এক কৃষকের জমির ফসল কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের (Trinamool Congress) বিরুদ্ধে৷ বুধবার রাতের এই ঘটনায় মধ্য কালোপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ৬৪ নম্বর বুথে চাঞ্চল্য ছড়াল৷ বনগাঁ থানাায় অভিযোগ জানিয়েছেন কৃষক তরুণ বিশ্বাস৷
ওই ব্যক্তি নিজের জমিতে চাষবাসের পাশাপাশি ক্যাটারিংও করেন। ভোটের (WB Panchayat Poll) দিন দুপুরে ৬৪ নম্বর বুথের বিজেপি কর্মীদের অর্থের বিনিময়ে রান্না করে খাওয়ান৷ আক্রশে প্রায় এক বিঘা জমির ওলের খেত, পেঁপে গাছ, পটল খেত নষ্ট করে দেওয়া হয়। তৃণমূলই এই কাজ করেছে বলেই অভিযোগ।
মাঝের পাড়ার ৬৪ নম্বর বুথ থেকে জয়ী হন বিজেপি প্রার্থী পরিমল বিশ্বাস৷ তিনি বলেন, “তরুণ রাজনীতি করেন না। তিনি ভোটের দিন দুপুরে আমাদের কর্মীদের রান্না করে খাইয়েছিলেন৷ ভোটের ফলাফলে তৃণমূল এখানে পরাজিত হয়েছে। আক্রোশে ওঁর জমির ফসল কেটে নিয়েছে দুষ্কৃতীরা৷ অবশ্যই তারা তৃণমূলের লোক।”
স্থানীয়দের দাবি, গত ৫০ বছরের মধ্যে এমন ঘটনা কখনও এলাকায় ঘটেনি৷ এ বিষয়ে বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার তৃণমূল সহ-সভাপতি প্রসেনজিৎ ঘোষ বলেন, “তৃণমূল এই সংস্কৃতিকে বিশ্বাসী নয়। দু-এক জায়গায় ভোটে জিতে প্রচারের আলোয় আসার জন্য এখন নিজেরা বিভিন্ন অপকর্ম করে তৃণমূলের নামে চালাচ্ছে বিজেপি।’
অরদিকে, পঞ্চায়েত ভোটে নন্দীগ্রামে ১০ হাজারের বেশি ব্যবধানে হারের পর তৃণমূল নেতা-কর্মীদের উপর কুৎসিত আক্রমণ শুরু বিজেপির। বহিরাগত কুখ্যাত দুষ্কৃতীদের ডেকে এনে বিজেপি জিতেছে এমন গ্রামগুলিতে তৃণমূল কর্মী ও সমর্থকদের উপর ভয়ংকর হামলা শুরু করেছে। এমনই অভিযোগ তৃণমূলের।
বিশেষ করে ভেকুটিয়া, সোনাচূড়া, আমদাবাদ, বয়াল ২ ও গোকুলনগরে বিজেপির তাণ্ডব বেশি বলে তৃণমূলের অভিযোগ। খেজুরি ২ ব্লকের দেখালিতেও নিরীহ তৃণমূলকর্মীদের উপর চড়াও হয়েছে দুষ্কৃতীরা। একের পর এক ঘরবাড়ি ও দোকানপাট ভেঙে দিয়ে রাতের অন্ধকারে পালিয়ে যাচ্ছে তারা। গোটা ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত গুরুতর জখম হয়েছে ২৭ জন। এর মধ্যে ১৪ জনের শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাদের নিয়ে এসে কলকাতার পিজি হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে।