বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ভারতের তৃতীয় চাঁদ অভিযান চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan-3) আজ লঞ্চ হল। দুপুর ২.৩৫ মিনিটে উৎক্ষেপণ করা হয় চন্দ্রযান-৩। অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে উৎক্ষেপণ করা হয় চন্দ্রযান-৩। উল্লেখ্য, এখনও পর্যন্ত যে সমস্ত দেশ চাঁদে তাদের বাহন পাঠিয়েছে সেগুলি সবই উত্তর মেরুতে অবতরণ করেছে। কিন্তু চন্দ্রযান-৩ হবে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণকারী প্রথম যান। চন্দ্রযান-৩ মিশন হল ২০১৯ সালে করা চন্দ্রযান-২ মিশনের ফলো-আপ অভিযান। এই মিশনে ল্যান্ডারের সফট ল্যান্ডিং ও রোভারকে ভূপৃষ্ঠে চলতে দেখা যাবে, যার মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করা হবে।
ISRO-র চন্দ্রযান-৩ মিশন চাঁদের অজানা তথ্য সংগ্রহ করবে। রাসায়নিক উপাদান এবং জল-মাটির সন্ধান করবে। এছাড়া চাঁদে মূল্যবান ধাতু শনাক্ত করবে চন্দ্রযান-৩। বিশ্বের প্রথম চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করবে চন্দ্রযান-৩। ISRO- রলক্ষ্য রোভারটিকে চন্দ্রপৃষ্ঠে চালিত করা। চন্দ্রযান-৩ চাঁদে উপস্থিত উপাদানগুলির বৈজ্ঞানিক পরীক্ষাও করবে।
ভারতের সাশ্রয়ী মিশনঃ বলে দিই যে, চন্দ্রযান-১ মিশনে ৩৮৬ কোটি টাকা খরচ করা হয়েছিল। একই সময়ে, চন্দ্রযান-২ মিশনের খরচ ছিল ৯৭৮ কোটি টাকা। তবে এবারের চন্দ্রযান-৩ মিশন খুব সাশ্রয়ী। এর খরচ ৬১৫ কোটি টাকা। বর্তমানে বলিউড একটি ছবি করতে এই টাকা খরচ করে।
https://twitter.com/chandrayaan_3/status/1679780323960442881
বলে দিই যে, চন্দ্রযান-৩ আজ ১৪ জুলাই ২০২৩ এ লঞ্চ হয়েছে। এটি চন্দ্রযান-২ এর ফলোআপ মিশন। এটি শ্রীহরিকোটা মহাকাশ কেন্দ্র থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়। চন্দ্রযান-৩ মিশনে রয়েছে ল্যান্ডার, রোভার। মিশনে অরবিটার অন্তর্ভুক্ত নয়। ল্যান্ডার, রোভার ১৪ দিন সক্রিয় থাকবে। ২৩-২৪ আগস্টের মধ্যে চাঁদে অবতরণের চেষ্টা করা হবে। চন্দ্রযান-৩ এর ওজনের কথা বললে, ল্যান্ডার মডিউলের ওজন ১.৭ টন। প্রপালশনের ওজন প্রায় ২.২ টন। ল্যান্ডারে রাখা রোভারটির ওজন ২৬ কেজি।