গতি এবং সুবিধার দিক থেকে ভারতে শীর্ষে রয়েছে এই পাঁচটি ট্রেন! তালিকায় রয়েছে বড় চমক

বাংলা হান্ট ডেস্ক: আমাদের দেশে ট্রেনে (Train) সফর করেননি এমন মানুষ রীতিমতো খুঁজে পাওয়াই মুশকিল। প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ মানুষ রেলপথের (Indian Railways) ওপর ভরসা রেখেই পৌঁছে যান নিজেদের গন্তব্যে। তবে, ভারতে ট্রেন গণপরিবহণের অন্যতম মাধ্যম হলেও কখনও ভেবে দেখেছেন যে, গতি এবং সুবিধার দিক থেকে দেশে শীর্ষে রয়েছে কোন ট্রেনগুলি? বর্তমান প্রতিবেদনে আমরা এই তালিকায় শীর্ষে থাকা পাঁচটি ট্রেনের প্রসঙ্গ বিস্তারিতভাবে উপস্থাপিত করছি।

১. গতিমান এক্সপ্রেস: বন্দে ভারতের আগে গতিমান এক্সপ্রেসের ক্রেজ সবচেয়ে বেশি ছিল দেশজুড়ে। এই ট্রেনটি দিল্লি থেকে আগ্রা পর্যন্ত মাত্র ১.৪০ ঘন্টার মধ্যে পৌঁছে যায়। শুধু তাই নয়, গতিমান এক্সপ্রেসের অপারেটিং গতি হল প্রতি ঘন্টায় ১৬০ কিলোমিটার। সর্বোপরি এই ট্রেনে হাই-টেক সুবিধাও রয়েছে।

২. বন্দে ভারত এক্সপ্রেস: বর্তমান সময়ে দেশের সবথেকে আলোচিত ট্রেন হল বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। এই ট্রেনের গতি এবং অত্যাধুনিক সুবিধার কারণে ইতিমধ্যেই এটি তুমুল জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। এমতাবস্থায়, প্রায় প্রতি মাসেই নতুন বন্দে ভারত ট্র্যাকে আসছে। এই ট্রেনের সর্বোচ্চ গতি হল ঘণ্টায় ১৮০ কিলোমিটার।

৩. ভোপাল শতাব্দী: এই ট্রেনটি ঘণ্টায় ১৫৫ কিলোমিটার বেগে চলতে পারে। যদিও, ট্রেনটিকে সর্বোচ্চ ১৪০ কিলোমিটার গতিতে চালানো হয়। বেশ কয়েক বছর যাবৎ এই ট্রেনটি ভারতের দ্রুততম ট্রেন হিসেবে বিবেচিত হত।

৪. মুম্বই-রাজধানী: এই এক্সপ্রেস ট্রেনের গতি ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটার করার পরিকল্পনা থাকলেও বর্তমানে মুম্বই-রাজধানী এক্সপ্রেস প্রতি ঘন্টায় ১৩০ থেকে ১৪০ কিমির মধ্যে চলাচল করে। এটি ট্রেনটি ২০ টি কোচ সহ মোট ১,৩৮৪ কিলোমিটার দূরত্ব সফর করে।

These five trains are top in the India in terms of speed and facility

৫. তেজস এক্সপ্রেস: এই ট্রেনটি গতিমানের সমমানের ট্রেন হিসেবে বিবেচিত হয়। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, তেজস এক্সপ্রেস হল দেশের প্রথম বেসরকারি ট্রেন। এটি মুম্বাই-গোয়া রুটে ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটার বেগে চলতে পারে। যদিও, এর সর্বোচ্চ অপারেটিং গতি প্রতি ঘন্টায় ১৩০ কিলোমিটারে সীমাবদ্ধ রয়েছে। এটি একটি সম্পূর্ণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ট্রেন। তেজস এক্সপ্রেস মুম্বাই-গোয়া, আনন্দ বিহার-লখনউ এবং দিল্লি-চন্ডিগড় রুটে চলে।


Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর