বাংলাহান্ট ডেস্ক : দুর্ঘটনায় করোটির সঙ্গে মেরুদণ্ডের সংযোগকারী হাড় স্থানচ্যুত হয়ে গিয়েছিল সুলেইমান হাসানের। ওয়েস্ট ব্যাঙ্কের বাসিন্দা ১২ বছরের সুলেইমান। সাইকেল চালানোর সময় তাকে একটি গাড়ি দ্রুতগতিতে এসে ধাক্কা মারে। সেই ধাক্কার ফলে সুলেইমানের ধড় ও করোটির সংযোগস্থল থেকে করোটি আলাদা হয়ে যায়।
এরপর তড়িঘড়ি তাকে ‘এয়ার লিফ্ট’ করে আনা হয় দক্ষিণ-পশ্চিম জেরুসালেমের এইন কেরেমের হাদাস্সা হাসপাতালের ট্রমা কেয়ার বিভাগে। সূত্রের খবর ছেলেকে ফিরে পেয়ে উচ্ছ্বসিত বাবা কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন চিকিৎসকদের।চিকিৎসকদের মতে, এই অস্ত্রোপচারে সফল হয়ে ওঠা অলৌকিক ঘটনার চেয়ে কম নয়।
তাঁরা বলছেন, এই ধরনের ঘটনায় ৫০ শতাংশ সম্ভাবনা থাকে ব্যর্থ হওয়ার। কিন্তু এ ক্ষেত্রে তার ঘটেনি। চিকিৎসক জানিয়েছেন, চিকিৎসা পরিভাষায় এর নাম ‘বাইল্যাটেরাল অ্যাটলান্টো অক্সিপিটাল জয়েন্ট ডিসলোকেশন’। তবে সূত্রের খবরে এটাও জানা গেছে যে , এই জটিল অস্ত্রোপচারের ঘটনাটি গত মাসে ঘটলেও চিকিৎসকেরা কিন্তু তখন তা প্রকাশ্যে আনতে চাননি।
বালকের বাবা বলেছেন, “আমি যত দিন বাঁচব, আপনাদের কৃতজ্ঞতা জানিয়ে যাব। আমার একমাত্র সন্তানের প্রাণ ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানানোর ভাষা আমার জানা নেই।’’ তিনি আরো বলেন , ‘‘ওকে বাঁচিয়ে দিল চিকিৎসকদের পেশাদারি দক্ষতা এবং সঠিক সময়ে সিদ্ধান্তগ্রহণের ক্ষমতা। আমি শুধু বলতে পারি, অসংখ্য ধন্যবাদ।’’
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য ,দীর্ঘ ক্ষণ অস্ত্রোপচারের পর সাফল্যের সম্মুখীন হট চিকিৎসকরা । গোটা প্রক্রিয়ার ভার ছিল যে চিকিৎসকের কাঁধে, সেই চিকিৎসক ওহাদ আইনাভ বলছেন, ‘‘আমরা যে বাচ্চাটিকে বাঁচাতে পেরেছি তা সম্ভব হয়েছে আমাদের জ্ঞানবুদ্ধি, আর অস্ত্রোপচার কক্ষে থাকা অত্যাধুনিক প্রযুক্তির জন্য । এটা ছাড়া আমাদের যুদ্ধ বৃথা যেত।’’
ছেলেকে নিয়ে বাড়ি ফেরার সময় চোখের জল বাধ মানেনি বাবার। বার বার হাত জোড় করে ধন্যবাদ জানিয়েছেন চিকিৎসকদের। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, চিকিৎসকরা সুলেইমানকে নিজেদের পর্যবেক্ষণে রাখতে চেয়েছিলেন। এক মাস সুলেইমানকে পর্যবেক্ষণে রাখার পর সম্প্রতি হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়ার পরেই সাংবাদিকদের কাছে ঘটনার কথা জানিয়েছেন চিকিৎসাকরা ।