বাংলা হান্ট ডেস্ক: ১৪ জুলাই, ২০২৩ সমগ্র ভারতবাসীর কাছেই এই দিনটি অত্যন্ত গর্বের একটি দিন হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। কারণ ওই দিনই বহুপ্রতিক্ষিত “চন্দ্রযান 3” (Chandrayaan 3) সফলভাবে পাড়ি দেয় চাঁদের উদ্দেশ্যে। এমতাবস্থায়, ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা তথা ISRO (Indian Space Research Organisation)-র এই সাফল্যের পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্বজুড়ে আসতে শুরু করে শুভেচ্ছা। এক কথায়, “চন্দ্রযান 3”-র উৎক্ষেপণ ভারতের কাছে এক বড় নজির তৈরি করেছে।
তবে, ভারতের এই সাফল্য প্রত্যক্ষ করে এবার পড়শি দেশ পাকিস্তানও কার্যত নিজেদের “চন্দ্রযান” লঞ্চ করে ফেলেছে। হ্যাঁ প্রথমে বিষয়টি জেনে চমকে গেলেও এখানে লুকিয়ে রয়েছে বড়ো চমকও। এমনকি, এই প্রসঙ্গে একটি ভিডিও তুমুল ভাইরাল হতেও শুরু করেছে সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে। মূলত, পাকিস্তান যে অভিনবভাবে চন্দ্রযানের উৎক্ষেপণ করেছে তা প্রত্যক্ষ করে হাসির রেশ উঠেছে নেটদুনিয়ায়।
পাকিস্তানের চন্দ্রযান: মূলত, সম্প্রতি যে ভিডিওটি ভাইরাল হতে শুরু করেছে সেই ভিডিওটি পুরোনো হলেও নেটমাধ্যমে ফের সেটি রীতিমতো সাড়া ফেলে দিয়েছে। যেটিতে রকেটের আকারে একটি এয়ার বেলুনকেই পাকিস্তানের “চন্দ্রযান” হিসেবে দাবি করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, ওই ভিডিওটি তে আরও দেখা গিয়েছে যে, আগুনের সাহায্যে ওই এয়ার বেলুনটি উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে।
আর এই ঘটনা প্রত্যক্ষ করতেই ভিড় জমিয়েছেন বেশ কয়েকজন। এমনকি, তাঁদের উৎসাহে চিৎকার করতেও দেখা যায়। এমতাবস্থায়, ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওটির ক্যাপশনে লিখে দেওয়া হয়েছে, “পাকিস্তানের চন্দ্রযানও লঞ্চ হয়ে গেল।” অর্থাৎ, ওই এয়ার বেলুনটিকেই মজার ছলে পাকিস্তানের “চন্দ্রযান” হিসেবে বিবেচিত করা হয়েছে।
এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে , বর্তমান সময়ে পাকিস্তান চরম অর্থনৈতিক সঙ্কটের সম্মুখীন হয়েছে। এমনকি, যত দিন এগোচ্ছে ততই খারাপ হচ্ছে সেদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা। এমতাবস্থায়, ওই পড়শি দেশ যে চন্দ্রযানের মতো কোনো মিশন এখন পরিচালনা করতে পারবে না তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে, পরিস্থিতি যেমনই হোক না কেন সামর্থ্য না থাকলেও পাকিস্তান ভারতকে টক্কর দিতে চায়। আর এই কারণেই, যখনই ভারত কোনো ঐতিহাসিক কাজ করে তখনই পড়শি দেশ থেকে এহেন অদ্ভুত সব ভিডিও সামনে আসে। যা আসলে হাসির রেশ উদ্রেক করে।
View this post on Instagram
মিলেছে নেটিজেনদের প্রতিক্রিয়া: এদিকে, এই মজাদার ভিডিও দেখে নেটিজেনরা বিভিন্ন মজাদার প্রতিক্রিয়াও জানিয়েছেন। এই প্রসঙ্গে একজন ব্যবহারকারী জানিয়েছেন, “এটি চাঁদে রুটি খোঁজার মিশন”। পাশাপাশি, অপর একজন ব্যবহারকারী বলেছেন, “এটি তৈরি করতে পাকিস্তানের GDP-র অর্ধেক লাগবে।” এদিকে, আরেক ব্যবহারকারী আবার জানিয়েছেন, “এবার চাঁদেও সন্ত্রাসবাদীদের পাঠানো হচ্ছে।”