বাংলাহান্ট ডেস্ক: সে সময়ে অমিতাভ বচ্চন (Amitabh Bachchan) পরিচিত ছিলেন ‘অ্যাংরি ইয়াং ম্যান’ হিসেবে। ইন্ডাস্ট্রির তাঁকে আপন করে নিতে লেগে গিয়েছিল কয়েক বছর। উপরন্তু একটি ঘটনা বিগ বির সম্পূর্ণ কেরিয়ার ধ্বংস করে দেওয়ার উপক্রম করেছিল। দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে মিডিয়া তাঁর ছবি তোলায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল।
ভারতীয় ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম প্রধান জনপ্রিয় মেগাস্টার অমিতাভ। দশকের পর দশক ধরে তিনি কাজ করেছেন বলিউডেই। কেরিয়ারের শুরুর দিকেই অমিতাভকে বর্জন করেছিল সংবাদ মাধ্যম। না তাঁর কোনও ছবি উঠত আর না কোনো তাঁর কোনো ছবি নিয়ে আলোচনা হত। কারণ এমনটা রটে গিয়েছিল যে এমার্জেন্সির সময়ে অমিতাভের জন্যই সংবাদ মাধ্যম নিষিদ্ধ হয়েছিল।
নিজের ব্লগে অমিতাভ লিখেছিলেন, সে সময়ে তাঁর সব ছবিই হিট হচ্ছিল। কেরিয়ারের শীর্ষে ছিলেন তিনি। ঠিক সে সময়েই বিগ বিকে বয়কট করে সংবাদ মাধ্যম। তাঁর কোনো ছবি তোলা হত না। ব্লগে অমিতাভ লেখেন যে তিনি কোনো অনুষ্ঠানে গেলে তাঁকে দেখেই ক্যামেরার লেন্স নামিয়ে দিতেন। এভাবে দুই পক্ষের মধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছিল বিবাদ। নিজের ছবির সেটে মিডিয়ার প্রবেশ নিষিদ্ধ করে দিয়েছিলেন অমিতাভ।
ওই ব্লগে অভিনেতা আরো জানান, তাঁর ব্যাপারে বা তাঁর সিনেমার ব্যাপারে কোনো কিছুই ছাপা হত না। তিনি মঞ্চে উঠলে ফটোগ্রাফাররা ক্যামেরা রেখে দিতেন। ওই সময়ের মধ্যেই অমিতাভের কেরিয়ারের অন্যতম সুপারহিট ছবি ‘দিওয়ার’ মুক্তি পেয়েছিল। ছবিটি এত হিট হওয়ার পরেও ‘আঁধি’র জন্য সেরা অভিনেতার পুরস্কার পান সঞ্জীব কুমার।
শুধু তাই নয়, সঞ্জীবকে পুরস্কার দেওয়ার জন্য মঞ্চে ডাকা হয়েছিল অমিতাভকেই। পরে তিনি শুনেছিলেন যে তাঁকে অপমান করার জন্যই এমনটা করা হয়েছিল। কিন্তু তবুও অমিতাভ পুরস্কার দিতে মঞ্চে উঠেছিলেন। প্রায় ১৫ বছর ধরে অমিতাভকে বয়কট করে রেখেছিল মিডিয়া।
ওই পরিস্থিতির অবসান হয় ‘কুলি’ মুক্তি পাওয়ার পর। কুলির সেটে ভয়াবহ দুর্ঘটনায় মরণ বাঁচন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল অমিতাভের। দীর্ঘদিন হাসপাতালে যমে মানুষে লড়াই করে সুস্থ হন তিনি। সে সময়ে প্রথম এক নামী পত্রিকা তাঁর ব্যাপারে একটি প্রতিবেদন লেখায় অবাক হয়ে গিয়েছিলেন অভিনেতা।
সুস্থ হওয়ার পর ওই পত্রিকার সম্পাদকের সঙ্গে তিনি নিজে গিয়ে দেখা করেন। তখন সেই সম্পাদক তাঁকে বলেছিলেন, মিডিয়ার প্রতি তাঁর ব্যবহারে তারা কষ্ট পেয়েছিলেন। তাই চেয়েছিলেন যাতে অমিতাভ ব্যর্থ হন। কিন্তু তাঁর প্রাণ চলে যাক সেটা কেউ চাননি। তাই তিনি সুস্থ হতে তাঁর ব্যাপারে লেখা হয় পত্রিকায়। ওই ঘটনার পর থেকে আর কখনো মিডিয়ার সঙ্গে বিবাদে জড়াননি অমিতাভ।