বাংলা হান্ট ডেস্ক : চুল পড়ে (Hair Fall) যাওয়ার সমস্যায় ভূগছেনা এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। কমবেশি প্রায় সকল মানুষই এই সমস্যায় জর্জরিত। বিশেষ করে বর্ষাকাল (Wet Season) এলেই অসম্ভব হারে চুল ঝরতে থাকে। আসলে বর্ষাকালে বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ অনেক বেশি থাকে। যার ফলে ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাকের আক্রমণ অনেক বেশি হয়। ফলে চুলের গোড়া এবং মাথার তালুকে (Scalp) নানা ধরনের সংক্রমণের মাত্রা বাড়ে।
যারফলে চুল পড়ার হারও অনেকটাই বেড়ে যায়। আর এই সমস্যায় তিতিবিরক্ত হয়ে উঠেছেন অনেকেই। তবে জানেন কি এই সমস্যারও সমাধান সম্ভব। তবে তার জন্য মেনে চলতে হবে কয়েকটি বিশেষ নিয়ম। পর পর এই নিয়মগুলি মেনে চললেই ফিরে আসবে চুলের স্বাস্থ্য। চুল হয়ে উঠবে সুন্দর ঝলমলে।
শ্যাম্পু (Shampoo) : চুলের স্বাস্থ্য ফিরিয়ে আনার জন্য শ্যাম্পু একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ জিনিস। বাজারে একাধিক কোম্পানির শ্যাম্পু বিক্রি হয়। এইসবের মধ্যে আপনাকে খুঁজে নিতে এমন এক শ্যাম্পু যা সালফেট ফ্রী। কারণ সালফেট যুক্ত শ্যাম্পু চুলের জন্য ক্ষতিকর।
কন্ডিশনার (Conditioner) : চুলে শ্যাম্পু করার পর কন্ডিশনিং মাস্ট। এক্ষেত্রে অবশ্যই ইনগ্রেডিয়েন্ট দেখে কন্ডিশনার কেনা উচিত। কন্ডিশনার মূলত চুলকে নরম, সিল্কি ও শাইনি করে তুলতে সাহায্য করে। উদাহরণস্বরূপ প্যান্থেনল, হ্যালুরনিক অ্যাসিড, গ্লিসারিন এই ধরণের ইনগ্রেডিয়েন্ট চুলের জন্য ভালো।
হেয়ার মাস্ক (Hair Mask) : চুল রুক্ষ এবং শুষ্ক হয়ে গেলে চুলে হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করুন। এক্ষেত্রেও ইনগ্রেডিয়েন্ট দেখা খুব প্রয়োজন। প্রয়োজন অনুযায়ী ইনগ্রেডিয়েন্ট বাছতে হবে। উদাহরণস্বরূপ, ভিটামিন ই চুলকে মশ্চারাইজ করে। তার সাথে স্কাল্প থেকে ওয়াটার লস হওয়া থেকেও বাঁচায়।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, চুল মোছার জন্য মাইক্রোফাইবারের তোয়ালে ব্যবহার করুন। মোটেও গামছা বা এই ধরণের তোয়ালে ব্যবহার করবেননা। চেষ্টা করুন স্যাটিন কাপড়ের বালিশ কভার ব্যবহার করতে। পাশাপাশি চুলে তেল দেওয়া ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়। এবং সর্বশেষ বিষয়, প্রোডাক্ট কেনার সময় দেখে নেবেন তাতে সিলিকন, প্যারাবেন, ফ্রেগরান্স (পারফিউম), কালার (DYS), এসেন্সিয়াল ওয়েল এবং ডি ন্যাট অ্যালকোহলের মত জিনিস আছে কি না! বিশেষজ্ঞদের মতে, এগুলি চুল এবং ত্বকের জন্য ক্ষতিকর।