বাংলাহান্ট ডেস্ক: বাংলাদেশের (Bangladesh) উপনির্বাচনে অশান্তির আঁচ। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ভোটে দাঁড়ানো মোঃ আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলমের (Hero Alom) উপরে আক্রমণের অভিযোগ উঠেছে। ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে বিরোধীদের হাতে আক্রান্ত হলেন ওপার বাংলার সোশ্যাল মিডিয়া সেনসেশন।
কয়েক মাস দুটি আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন হিরো আলম। কিন্তু কোনোটাতেই জয়ী হতে পারেননি তিনি। অভিযোগ করেছিলেন, তাঁকে ষড়যন্ত্র করে হারানো হয়েছে। এবার ফের উপনির্বাচনে ঢাকা-১৭ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে দাঁড়িয়েছেন হিরো আলম। আর এবারেই বিরোধীদের হাতে নিগৃহীত হতে হল তাঁকে।
আজ ১৭ জুলাই ছিল উপনির্বাচন। জানা গিয়েছে, এদিন দুপুরে বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ভোটকেন্দ্রে পরিদর্শনে গিয়েছিলেন হিরো আলম। সেখানে উপস্থিত ছিল নৌকা প্রতীকের আওয়ামী লিগের কর্মী সমর্থকরা। তাদের সঙ্গে উত্তপ্ত বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন হিরো আলম। তাদের বিরুদ্ধেই আক্রমণের অভিযোগ উঠেছে।
সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, বচসা থামাতে ভোটকেন্দ্রে নিরাপত্তা রক্ষার দায়িত্বে থাকা পুলিশকর্মীরা হিরো আলমকে স্কুলের মূল গেটের দিকে নিয়ে যান। কিন্তু তখনো তাঁর পিছু ছাড়েনি বিরোধীরা। পুলিশরা ফিরে যেতেই হিরো আলমের উপরে হামলা হয় বলে অভিযোগ। তাঁকে রাস্তায় ফেলে মারধোর করা হয়।
আক্রান্ত অবস্থাতেই হিরো আলম পালিয়ে বনানী ২৩ নম্বর সড়ক থেকে একটি রিকশায় উঠে পড়েন। তারপর গাড়িতে উঠে ঘটনাস্থল থেকে পালান বলে খবর। তবে মারধোরের ঘটনায় গুরুতর চোট পেয়েছেন তিনি। হাসপাতালে ভর্তিও করতে হয়েছে তাঁকে।
এর আগের বার হিরো আলম বলেছিলেন, তিনিই জিতেছিলেন। কিন্তু ষড়যন্ত্র করে জোর করে হারানো হয়েছিল তাঁকে। এবারে ফের নির্বাচনে দাঁড়িয়ে তিনি প্রমাণ করে দিতে চান যে তিনি সঠিক। নির্বাচনে দাঁড়ানোর জন্য তাঁর যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠলে হিরো আলম স্পষ্ট বলেন, হ্যাঁ এটা সত্যি যে তিনি সাংসদ হওয়ার যোগ্য নন। তবে এমনো অনেক মানুষ আছে যারা অযোগ্য হয়েও গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন।
‘ভারত আজ পর্যন্ত অলিম্পিকে সোনা পায়নি …’ ভরা মঞ্চে বেফাঁস মমতা