আদালতে মানুষকে ন্যায় দিতে আসে, হেডলাইনে নাম ছাপাতে নয়! এজলাসে যা বললেন জাস্টিস সিনহা

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ মিটে গিয়েছে পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Vote)। তবুও এখনও অব্যাহত অশান্তি। পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে দিকে দিকে রণক্ষেত্রের দশা রাজ্যে। আর তার জেরে একের পর এক প্রায় রোজই নিত্যনতুন মামলা দায়ের হচ্ছে কলকাতা হাইকোর্টে। কার্যত মামলার বন্যা। বুধবার এজলাসে মাননীয়া বিচারপতি অমৃতা সিনহা (Justice Amrita Sinha) বলেন, মামলার চোটে দুপুরের খাবার খাওয়ার সময় টুকুও পাচ্ছেন না তিনি।

অন্যদিকে, হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম সম্প্রতি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, এত পরিমানে পঞ্চায়েত মামলার জন্য অন্যান্য মামলার শুনানি করা যাচ্ছে না আদালতে। এই নিয়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘গত দেড় মাস ধরে গাদা গাদা পঞ্চায়েত মামলা হচ্ছে। সেসব মামলা শুনতে গিয়ে অন্য কোনও মামলা শোনা যাচ্ছে না। মানুষ ভাবছে আমরা কাজ করছি না। আসলে আপনাদের পঞ্চায়েত মামলার ভিড়ে অন্য সব মামলা চাপা পড়ে যাচ্ছে।’

অন্যদিকে, এদিন পঞ্চায়েত মামলা নিয়ে মন্তব্য করেন বিচারপতি সিনহাও। উল্লেখ্য, বুধবার সকালে আদালতে উল্লেখপর্বে এক আইনজীবী পঞ্চায়েত মামলা ব্যাতিত একটি মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে কি না তা জানতে চান। এর উত্তরে বিচারপতি বলেন, ‘কথা দিতে পারছি না।’

বিচারপতি সিনহা বলেন, ‘ রোজ রোজ যেভাবে বন্যার মতো পঞ্চায়েতের মামলা আসছে তাতে আমি আপনাকে কথা দিতে পারছি না। রোজ ৭০ – ৮০টা করে তালিকাবহির্ভূত মামলা আসছে’। তখন উপস্থিত এক আইনজীবী বিচারপতিকে উদ্দেশ্য করে বলেন ‘আমরা দেখছি যে মাননীয় বিচারপতি দুপুরের আহার করার সময় পাচ্ছেন না’।

vote alcutta high court

এরপর বিচারপতি সিনহা বলেন, ‘হ্যাঁ, গতকাল আমি ১০টা ৩০ মিনিট নাগাদ এজলাসে বসেছি। উঠেছি বেলা ৩টে ২৯ মিনিটে’। কথার আরেক আইনজীবী বলেন, ‘আজকের খবর কাগজে প্রথম হেডলাইনেই আপনার নাম’। উত্তরে বিচারপতি সিনহা বলেন, ‘খবরের কাগজে নাম ছাপাটা বড় কথা নয়। বড় কথা হল, একটু স্বস্তি পেতে মানুষ ছুটতে ছুটতে আদালতে আসছে। সাংবাদিকদের হয়তো হেডলাইন নিয়ে উৎসাহ থাকবে। তবে আমরা আদালতে আসি শুধুমাত্র মানুষকে ন্যায় দিতে। হেডলাইনে নাম ছাপার জন্য নয়’।


Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর