বাংলাহান্ট ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Election) বাংলা জুড়ে যে হিংসার পরিবেশ দেখেছে মানুষ তার ভয়াবহতা কাটেনি এতদিন পরেও। ভোটের মনোনয়ন পর্ব থেকেই বিভিন্ন জায়গায় সংঘর্ষ, হিংসার খবর পাওয়া যাচ্ছিল। নির্বাচনের দিন সকাল থেকেই জেলায় জেলায় বোমাবাজি, সন্ত্রাসের দৃশ্য ফুটে উঠছিল। মৃতের সংখ্যা বাড়তে বাড়তে ছুঁয়েছে অর্ধ শতক। কিন্তু বুদ্ধিজীবীদের নীরবই থাকতে দেখা গিয়েছে বরাবর। এতদিন পর অবশেষে মুখ খুললেন অভিনেত্রী পরিচালক অপর্ণা সেন (Aparna Sen)।
পঞ্চায়েত ভোটে হিংসার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর সরকারের দায়বদ্ধতার প্রশ্ন তুলে একটি খোলা চিঠি দেওয়া হয়েছে। সেখানে সাক্ষর করেছেন অপর্ণা সেন, বোলান গঙ্গোপাধ্যায়ের মতো বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বরা। ভোট হিংসার জন্য বাংলার অরাজকতার পরিবেশকে দায়ী করে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন বুদ্ধিজীবীদের একাংশ।
পঞ্চায়েত ভোটে ৩৭ দিনের মধ্যে মৃতের সংখ্যা ছুঁয়েছে ৫২। নিখোঁজের তালিকাতেও রয়েছে অনেক নাম। কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং নির্বাচন কমিশন স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের উপরে নির্ভর করে চলে। এই অরাজকতার দায় বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে অস্বীকার করতে পারেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, এমনটাই সারাংশ চিঠির।
এক সময় পরিবর্তনের সরকার আনার জন্য সুর চড়ানোর দলে ছিলেন অপর্ণা সেনও। এখন তাঁর বক্তব্য, সকলের মতো তিনিও নিরুপায় হয়েই সবটা দেখছেন। বলেও কোনো লাভ হচ্ছে না। পরিচালকের মতে, সে সময়ে বামেরা যা করছিল তা ভুল করছিল। গ্রামে গ্রামে গিয়ে ভোট না দেওয়ার জন্য জোর জুলুম করত হার্মাদ বাহিনী। তিনি নিজেও তাঁর সাক্ষী। তাই সে সময়ে পরিবর্তনের ডাক দেওয়া দরকার ছিল বলে মন্তব্য করেন অপর্ণা সেন। সেই সঙ্গে তিনি এও বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তিনি একা আনেননি। মানুষের ভোট পেয়েই তিনি এসেছেন।
কিন্তু বর্তমান সরকারের পরিস্থিতি দেখে অপর্ণা হতাশ। পুনরায় পরিবর্তনের প্রসঙ্গ উঠতে সংবাদ মাধ্যমের কাছে অপর্ণার পালটা প্রশ্ন, পরিবর্তনের জন্য কাকে আনবেন? বাংলায় গণতন্ত্র বলে আর কিছু নেই। এমন অবস্থা চললে কিছুদিন পর বাক স্বাধীনতার অধিকারও চলে যাবে। তাঁর সরাসরি দাবি, তৃণমূল সহ কোনো রাজনৈতিক দলই এমন নেই যারা দুর্নীতিগ্রস্ত নয়। যারা নন তারা আসনই পান না বলে মত অপর্ণা সেনের।