বাংলা হান্ট ডেস্কঃ অবশেষে ২০১৬ সালের একাদশ ও দ্বাদশের নিয়োগের তালিকা প্রকাশ করল স্কুল সার্ভিস কমিশন (SSC)। নিজের চাকরি ফেরত পেতে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয়েছিলেন ববিতা সরকার। কোনও নিয়োগের ক্ষেত্রে দুর্নীতি হয়েছে কি না, তা জানতে হাইকোর্টের কাছে ২০১৬ সালের একাদশ-দ্বাদশের মেধাতালিকা ও সম্পূর্ণ তথ্য প্রকাশ করার আর্জি জানিয়েছিলেন ববিতা।
আদালতের নির্দেশের পরই বৃহস্পতিবার প্রকাশ হল ২০১৬ সালের একাদশ ও দ্বাদশের নিয়োগের পূর্ণ তালিকা। স্কুল সার্ভিস কমিশণের প্রকাশ করা তালিকায় ৫৭৫৭ জনের নাম ছাড়াও স্কুল, জেলা, বিষয়েরও উল্লেখ রয়েছে। প্রসঙ্গত, নিজের চাকরি হারানোর পর তা পুনরায় ফিরে পেতে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছেন ববিতা।
ববিতার বক্তব্য ছিল, ২০১৬-র পরীক্ষার ভিত্তিতে নিয়োগ হয়েছে এমন কারও চাকরি নিয়ে যদি প্রশ্ন ওঠে, যদি তালিকা প্রকাশ্যে আসলে দুর্নীতি ধরা পড়ে সে ক্ষেত্রে চাকরির সুযোগ পেতে পারেন তিনি।তাই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এজলাসে মেধাতালিকা ও ওএমআর প্রকাশের আবেদন জানিয়েছিলেন তিনি।
এরপর বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সেই আর্জি মঞ্জুর করেলেও সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে ডিভিশন বেঞ্চে যায় এসএসসি। এরপর বিচারপতি সৌমেন সেন ও বিচারপতি উদয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চ মামলাটি গেলে উত্তরপত্র প্রকাশে কেন বাধা, এই নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এরপরই গতকাল সেই তালিকা প্রকাশ করেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। প্রসঙ্গত বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিয়োগে যে দুর্নীতি হয়েছে, তা ইতিমধ্যেই স্বীকার করে নিয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশনও। এরই মধ্যে এবার সামনে এল ২০১৬ সালের একাদশ ও দ্বাদশের নিয়োগের পূর্ণ তালিকা।
উল্লেখ্য, রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা উত্তরবঙ্গের তৃণমূল নেতা পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারী অবৈধভাবে চাকরি পেয়েছেন, এই অভিযোগ তুলে আদালতে মামলা ঠোকেন আরেক চাকরিপ্রার্থী ববিতা সরকার। পরে যদিও চিত্র পাল্টে যায়। ববিতার পর অনামিকা রায় নামে অন্য এক এসএসসি পরীক্ষার্থী জানান তার নম্বর ববিতার থেকে বেশি।
এরপর আদালত বিবেচনা করে ববিতার চাকরি অঙ্কিতাকে দেয়। আদালতের নির্দেশেই স্কুলশিক্ষিকার চাকরি পেয়েছিলেন ববিতা। আবার হাই কোর্টের নির্দেশেই সেই চাকরি খোয়ান তিনি। যদিও এতেই থেমে থাকেননি ববিতা। এরপর ওএমআর শিট প্রকাশের দাবি জানিয়ে ফের আদালতের দ্বারস্থ হন ববিতা।