লজ্জার নয়, বরং হ্যাপি ‘পিরিয়ডস্’! ট্যাবু ভেঙে কন্যার প্রথম ঋতুস্রাব সেলিব্রেট করল পরিবার

বাংলাহান্ট ডেস্ক : সময় বদলাচ্ছে। তার সাথে বদলাচ্ছে চিন্তাভাবনা। সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে নতুন নজির সৃষ্টি করলেন উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) বাসিন্দা জিতেন্দ্র ভাট। ধুমধাম করে পালন করলেন কন্যার প্রথম পিরিয়ডস। পেশায় সংগীত শিক্ষক জিতেন্দ্র উত্তরাখণ্ডের উধম সিং নগরের বাসিন্দা। সম্প্রতি তার কন্যা রাগিণীর প্রথম ঋতুস্রাব হয়েছে।

সেই উপলক্ষে ধুমধাম করে আয়োজন করলেন পার্টির। এমন সিদ্ধান্তের পিছনে অবশ্য জিতেন্দ্রর শৈশবের কিছু অভিজ্ঞতা লুকিয়ে রয়েছে।ছোটবেলায় তিনি দেখেছেন ঋতুস্রাব হলে কীভাবে পরিবারের মেয়েদের দূরে সরিয়ে রাখা হত। ঋতুস্রাব চলাকালীন বাড়ির মেয়েদের অশুচি বলে গণ্য করে ঢুকতে দেওয়া হত না রান্নাঘর কিংবা ঠাকুর ঘরে।

এই কুসংস্কার দূর করার জন্য তিনি অনেক আগে থেকেই মনস্থির করেছিলেন। নিমন্ত্রিত হিসেবে ছিলেন মেয়ের বান্ধবীরা। স্যানিটারি ন্যাপকিন-চকলেট রাগিণী উপহার পান এই পার্টিতে।
কন্যার প্রথম ঋতুস্রাব উপলক্ষে তাকে অভিনন্দন জানিয়ে জিতেন্দ্র পোস্ট করেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেই পোস্ট ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে।

জিতেন্দ্রর কথায়,”কেন লুকিয়ে রাখা হবে এমন জিনিস? এটি একটি স্বাভাবিক শারীরবৃত্তীয় ঘটনা যা উর্বরতা নিয়ে আসে। আমাদের উচিত এটিকে আড়ালে লুকিয়ে না রেখে সেলিব্রেট করা।” মেয়ের প্রথম ঋতুস্রাব উপলক্ষে আয়োজিত পার্টিতে জিতেন্দ্র নিয়ে এসেছিলেন একটি রেড ভেলভেট কেক।

screenshot 2023 07 22 15 02 21 36

রাগিণী সদ্য পা দিয়েছে যৌবনে। এই অবস্থায় সে রীতিমতো উচ্ছ্বসিত ও গর্বিত তার বাবা-মাকে নিয়ে। রাগিণী জানিয়েছে সে চায় তার বন্ধু ও তাদের অভিভাবকদের মধ্যেও ছড়িয়ে পড়ুক এমন সচেতনতা। পার্টিতে যোগ দেওয়া অতিথিরা মনে করেন এই ধরনের অনুষ্ঠান আরো বাড়লে ঋতুস্রাব নিয়ে কুসংস্কার দূর হবে মানুষের মন থেকে।


Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর