বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গত বছর ২১ জুলাই ঠিক একদিন পরেই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তৎকালীন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) বাড়িতে হানা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। প্রায় ২৭ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ ও তল্লাশির পর ২৩ জুলাই নাকতলার বাড়ি থেকে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Scam) গ্রেফতার করে তদন্তকারী সংস্থা। বঙ্গ রাজনীতিতে প্রথমবার এই ঘটনা হতে দেখে সকলে ‘থ’ হয়ে গিয়েছিল।
ওদিকে পার্থবাবুর সূত্র ধরেই উঠে আসে ‘মডেল’ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের (Arpita Mukherjee) নাম। এরপর অর্পিতার দুটি ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় টাকার পাহাড়। এরপর অর্পিতাকেও গ্রেফতার করে ED। তারপর পেরিয়ে গিয়েছে গোটা একটা বছর। তবে এখনও জেলের ঘানি টেনেই দিন কাটছে পার্থ-অর্পিতার।
পার্থ গ্রেফতারির পরই তড়িঘড়ি তাকে মন্ত্রিসভা থেকে সরিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি তৃণমল থেকে তাকে সাসপেন্ড করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। রাতারাতি সমস্ত জায়গা থেকে মুছে যায় তার নাম। তবে দল পাশে না থাকলেও তিনি যে দলের সাথেই রয়েছেন সেকথা বারেবারে জানান দিয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। একদা তৃণমূলের হেভিওয়েট এই নেতার গ্রেফতারির একবছর পর ফিরে দেখা যাক তার করা কিছু মন্তব্য।
গ্রেফতারির পরই তাকে দল থেকে বহিষ্কার করে তৃণমূল। যদিও এ দেখে অবাক হয়েছিলেন অনেকেই। তবে পার্থ যে দলের সাথেই আছেন সেই নিয়ে গ্রেফতারির মাস খানেক পরেই মুখে খোলেন তিনি। সেই সময় এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে বেরোনোর পথে পার্থ বলেছিলেন, ‘দলের সঙ্গে আছি, দলের সঙ্গেই ছিলাম’।
কিছুমাস আগে জেগে ওঠে পার্থর কবিসত্তা। আদালতে প্রবেশের সময় পার্থ বলেন, ‘মসি লেপি দিল তবু ছবি ঢাকিল না, অগ্নি দিল তবুও তো গলিল না সোনা।’ যেই মসী শব্দের অর্থ কলঙ্ক বা কালি। অনেকের মতে কবিতার মাধ্যমে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছিলেন।
এরপর পঞ্চায়েত নির্বাচনের কিছুদিন আগে অভিষেকের নবজোয়ার কর্মসূচী নিয়ে পার্থ বলেন, ‘১০০ শতাংশ সফল অভিষেকের কর্মসূচি, নবজোয়ারে জনজোয়ার এসেছে।’
পঞ্চায়েত ভোটের ফলাফল সামনে আসার পর তিনি বলেছিলেন , ‘আমি বলব যে, মৃত্যুহীন নির্বাচন কাম্য, বাংলার মানুষ মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়কে, তার উন্নয়নকে সমর্থন করেছেন, বাংলার মা মাটি মানুষের জয়, শুধু দুঃখ থেকে গেল, মৃত্যুহীন হলে বোধহয় আরও ভাল হতো।’