বাংলা হান্ট ডেস্ক : জ্ঞানবাপীর (Gyanvapi Case) অজু খানায় এক পাথরকে ‘শিবলিঙ্গ’ বলে দাবি করে মামলা হয় আদালতে। সেই সংক্রান্ত মামলার একাধিক আবেদনের ভিত্তিতে শুনানি চলছে সুপ্রিম কোর্ট, বারাণসী আদালতে। এরই মাঝে বারাণসী আদালতের (Varanasi Court) তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়, মসজিদে সমীক্ষা চালাতে পারবে আর্কেওলজিকাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া (Archeological Survey of India)।
যদিও এই সংক্রান্ত একটি মামলা সুপ্রিম কোর্টেও চলছে। সমীক্ষার বিরুদ্ধে মুসলিম পক্ষ শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ। তবে এরই মাঝে নিম্ন আদালতের নির্দেশে আজ সকাল থেকে শুরু হয়ে যায় সমীক্ষার তোড়জোড়। বিপুল পরিমাণ পুলিস মোতায়েন করা হয় মসজিদের আশেপাশে। এদিকে এএসআই-এর দল গতকালই বারাণসীতে পৌঁছে গিয়েছিল প্রয়োজনী যন্ত্রপাতি সঙ্গে নিয়ে। মোট ২৪ জনের একটি দল আজ মসজিদে প্রবেশ করে সমীক্ষা চালাবে। এদিকে সমীক্ষকদের সঙ্গে মসজিদে প্রবেশ করেছেন চারজন মহিলা আবেদনকারী এবং তাঁদের আইনজীবীরাও।
জ্ঞানবাপী মসজিদে শিবলিঙ্গ থাকার দাবি করে সেখানে পুজো করার আবেদন জানিয়ে মামলা দায়ের হয়েছিল বারাণসী আদালতে। হিন্দু পক্ষের সেই দাবি খারিজ করে পালটা মামলার আবেদন জানানো হয়েছিল। সেই মামলা সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গড়িয়েছিল। পরে সুপ্রিম নির্দেশে সেই মামলা ফিরে আসে বারাণসী আদালতে। বারাণসী দায়রা আদালতে বিচারক একে বিশ্বেসের একক বেঞ্চ জানিয়ে দেয় যে হিন্দু পক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে মামলা এগোবে।
অপর দিকে, মুসলিম পক্ষ অঞ্জুমানে ইন্তেজামিয়া কমিটির আবেদন খারিজ করেন বিচারক। জ্ঞানবাপী মসজিদ মামলায় বারাণসী জেলা আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতে যায় আঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া মসজিদ কমিটি। এভাবেই এই মামলা এক আদালত থেকে অন্য আদালতে ঘুরে বেরাচ্ছে।
পাঁচজন মহিলা জ্ঞানবাপী মসজিদকে হিন্দু মন্দির দাবি করে পুজো করার অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছিলেন বারাণসীর আদালতে। এরপর সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত একটি সমীক্ষার নির্দেশ দেয়। বিতর্ক সত্ত্বেও সেই সমীক্ষা সম্পন্ন হয়। গতবছর ১৪ থেকে ১৬ মে পর্যন্ত চলা এই সমীক্ষার উপর ভিত্তি করে ১২ পৃষ্ঠার রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছিল।
এদিকে মুসলিম পক্ষের দাবি, ১৯৯১ সালের ধর্মীয় উপাসনাস্থল রক্ষা আইন অনুযায়ী পুজোর দাবি জানিয়ে এই মামলা ভিত্তিহীন। যদিও হিন্দুপক্ষে দাবি, ১৯৪৭ সালের পরেও এখানে পুজো হয়েছে। প্রমাণ হিসেবে ১২ জন সাক্ষীকেও হাজির করা হয় আদালতে।