বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ফের চর্চার শিরোনামে পুরুলিয়ার ঝালদা পুরসভা (Jhalda Municipality)। হঠাৎই কলকাতায় সেখানকার তিন কংগ্রেস ও ২ নির্দল কাউন্সিলর (Councilors)। অভিযোগ, কলকাতায় এনে তাদের জোর করে দলবদল করানোর চেষ্টা করছে তৃণমূল (Trinamool)। কলকাতার সল্টলেক স্টেডিয়ামের যুব আবাসে তাদের রাখা হয়েছিল বলে দাবি কংগ্রেসের (Congress)।
ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে পদক্ষেপ করেছে কংগ্রেস। খবর পেয়েই পরিস্থিতি সামাল দিতে ময়দানে নামেন বর্ষীয়ান কং নেতা নেপাল মাহাতো। পুরুলিয়ার কংগ্রেস নেতা নেপাল মাহাতোর দাবি, ‘চেয়ারপার্সন-সহ ২ নির্দল কাউন্সিলরকে ভুল বোঝানোর চেষ্টা করেছিল তৃণমূল।’
এরপর কংগ্রেস যুব নেতা কৌস্তভ বাগচিকে সাথে নিয়ে সল্টলেকে ওই কাউন্সিলরদের সঙ্গে দেখা করতে যান তিনি। কৌস্তভের অভিযোগ, কংগ্রেসের বোর্ড ভাঙার জন্যই কংগ্রেস ও নির্দলকে নিজেদের দলে টানার চেষ্টা করছে তৃণমূল। তাদের উপর দলবদলের জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে। সূত্রের খবর সেখানের পুরপ্রধান শীলা চট্টোপাধ্যায় সহ রঞ্জন কর্মকার নামে কাউন্সিলরকেও কলকাতায় আনা হয়েছে। কৌস্তভ জানান এনাদের দুজনের সাথেই কথা হয়েছে। সোমবারই তারা ফিরে যাবেন।
কংগ্রেস নেতা নেপাল মাহাতো বলেন, ”আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা আমাদের সঙ্গেই আছেন। ওদের ভুল বোঝানো হচ্ছিল। আমরা এসে ওদের বোঝাতে পেরেছে, ওরাও বুঝেছেন। ঝালদা পুরসভা বিরোধী পুরসভা। এই নিয়ে শাসকদল যা করছে, তা যদি অবিলম্বে বন্ধ না করে আমরা আদালতে যেতে বাধ্য হব। এখানে কাউন্সিলরদের কাজে বাধা দেওয়া হচ্ছে। টাকা দেওয়া হচ্ছে না।”
যদিও নির্দল কাউন্সিলর রঞ্জন কর্মকার বলেন, ‘ব্যক্তিগত কাজে কলকাতায় এসেছি। তৃণমূলের কেউ যোগাযোগ করেনি আমার সঙ্গে, ভুল বোঝাবুঝি মিটে গিয়েছে।’ প্রসঙ্গত, এই পুরসভায় বোর্ড গঠন নিয়ে প্রথম থেকেই জটিলতা। নির্দল প্রার্থীদের সমর্থন নিয়ে কংগ্রেস বোর্ড গঠন করতে চাইলে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় তৃণমূল। পরে আদালতের নির্দেশে কংগ্রেস পুরবোর্ড গঠন করে। তারপর দুবার পুরপ্রধান বদলও হয়। বর্তমানে নির্দল প্রার্থী শীলা চট্টোপাধ্যায় কংগ্রেসে সমর্থন নিয়ে তিনিই পুরপ্রধানের দায়িত্বে আসেন।