বাংলা হান্ট ডেস্ক : ২০১২ সালের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে (Primary Recruitment Scam) কারচুপির অভিযোগ উঠেছিল। তা নিয়ে আদালতে মামলাও হয়। এ বার সেই মামলায় রাজ্য শিক্ষা দফতরকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানার নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly)।
মঙ্গলবার তিনি নির্দেশ দেন, আগামী ১০ দিনের মধ্যে হাই কোর্টের ‘লিগ্যাল এড সার্ভিস’-এ ওই টাকা জমা দিতে হবে। শিক্ষা দফতর ওই টাকা কোথায় পাবে, তারও পথ বাতলে দিয়েছেন বিচারপতি। তিনি জানিয়েছেন, ওই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ‘দুর্নীতি’র তদন্তে যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হবে, তাঁদের কাছ থেকে নিতে হবে জরিমানার টাকা।
মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানিতেই মন্ত্রী ব্রাত্য বসুর দফতরকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর নির্দেশ, আগামী ১০ দিনের মধ্যে হাই কোর্টের ‘লিগ্যাল এড সার্ভিস’-এ ওই টাকা জমা দিতে হবে। একই সঙ্গে আগামী ছ’সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত শেষ করে প্রিন্সিপাল সেক্রেটারিকে জমা দিতে হবে রিপোর্ট। হাই কোর্ট তার পর্যবেক্ষণে জানিয়েছে, প্রিন্সিপাল সেক্রেটারির যদি সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা না থাকে, তবে তাঁর পদত্যাগ করা উচিত। এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ১২ সেপ্টেম্বর।
২০১২ সালে পূর্ব মেদিনীপুরে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কারচুপির অভিযোগ উঠেছিল। স্বজনপোষণের মাধ্যমে অনেকে চাকরি পেয়েছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছিল। সেই অভিযোগের জল গড়িয়েছিল কলকাতা হাই কোর্টে। ২০১৬ সালে দফতরের মুখ্য সচিবকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল হাই কোর্ট। তারপর কেটে গিয়েছে প্রায় ছ’বছর। কিন্তু তদন্ত শুরু হয়নি।