বাংলা হান্ট ডেস্ক : কয়লা পাচার কাণ্ডে (Coal Smuggling Case) সিবিআইয়ের (Central Bureau of Investigation) জালে অনেক আগেই ধরা পড়েছেন ইসিএলের ডিরেক্টর টেকনিক্যাল অপারেশন সুনীল কুমার ঝা। সিবিআই অফিসে তাঁকে তলব করা হয় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য। কয়েকঘণ্টার জিজ্ঞাসাবাদে একাধিক প্রশ্ন এড়িয়া যাওয়া এবং তদন্তকারীদের সহযোগিতা না করার অভিযোগ ওঠে।
এখানেই শেষ নয়, অভিযোগ, কয়লা পাচার কাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত অনুপ মাঝির কাছ থেকে ‘প্রোটেকশন মানি’ নগদে টাকা নিতেন তিনি। জানা যাচ্ছে, অনুপের থেকে প্রায় ১ কোটি ৬৯ লক্ষ টাকা হাতিয়েছিলেন সুনীল।এই বিরাট অংকের টাকার লেনদেন সামনে আসায় আদালতে জামিন পেলেন না ইএসএল-এর ওই আধিকারিক। এদিন সিবিআই-এর হয়ে সওয়াল করেছিলেন আইনজীবী অমাজিৎ দে।
এছাড়াও তাঁর বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে বলে সিবিআই সূত্রে খবর। আগেই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁদের ডেকে পাঠানো হয়। সেখানেই তাঁদের গ্রেফতার করা হয়। অভিযোগ, ২০১৫ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত অনুপ মাঝি এবং তাদের সহযোগীরা ইসিএলের কয়লাখনি থেকে অবাধে কয়লা পাচার করেছে। এই কাজে মদত দিয়েছে ইসিএলের কয়েকজন আধিকারিক এবং নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সংস্থার কর্মীদের একাংশ।
কী ভাবে যোগসাজশ করে বেআইনি ভাবে খাদান থেকে কয়লা তুলে টাকা পাচার করা হয়েছে, সে বিষয়ে আরও তথ্য পেতে অভিযুক্তদের তলবের প্রক্রিয়া জারি রেখেছে ইডি। আদালতের নির্দেশ রয়েছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি তলব করলে হাজিরা দিতে হবে মলয় ঘটককেও।
সম্প্রতি দিল্লিতে রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটককে তলব করা হয়। কিন্তু মন্ত্রী হাজিরা দেননি বলে জানায় কেন্দ্রীয় সংস্থা। অবশ্য সাংবাদিকদের কাছে তিনি দাবি করেছিলেন, তাঁকে তলবই করা হয়নি। কাজেই যাওয়ার প্রশ্ন উঠছে কী ভাবে? ইডি সূত্রের খবর, ২৬ জুলাই তিনি হাজিরা এড়িয়ে গেলে আইনি পদক্ষেপের বিষয়ে চিন্তাভাবনা করা হবে।
সিবিআইয়ের হাতে অনুপ মাঝি গ্রেপ্তার হলেও আপাতত জামিনে মুক্ত রয়েছেন। তাঁর সঙ্গে দিল্লিতে বিকাশ মিশ্রকে বসিয়েও জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন তদন্তকারী অফিসারেরা। কয়লা মামলায় অনুপ দুর্নীতির কেন্দ্রে রয়েছেন বলে অভিযোগ। তাঁকে সাহায্য করার অভিযোগ রয়েছে পুলিস-প্রশাসন থেকে শুরু করে ইসিএল, রেলের আধিকারিকদের বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যে এই চক্রে কয়েকজন রাজনীতিবিদের নামও জড়িয়ে গিয়েছে।