বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দীর্ঘ এক সপ্তাহের লড়াই শেষ! মৃত্যু হল ক্ষাপাইডাঙার যৌন নিগ্রহের শিকার নাবালিকার (Minor girl died)। গত কয়েকদিন ধরেই কোচবিহার (Coochbehar) এম যে এন মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন ওই স্কুল পড়ুয়া নির্যাতিতা। তবে বুধবার সকালে হাসপাতালেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ওই কিশোরী।
নাবালিকার মৃত্যুর সংবাদ পড়তেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। এমনকি হাসপাতাল চত্বরেও ভিড় জমান স্থানীয় বাসিন্দারা। পরিস্থিতি সামাল দিতে মোতায়েন করা হয় পুলিশ। প্রসঙ্গত, গত ১৮ই জুলাই স্কুল যাওয়ার উদ্দেশ্যে বের হন ওই তরুণী। তবে আর বাড়ি ফেরেনি মেয়ে।
ঘটনার দুদিন পর পুন্ডিবাড়ি থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করে নির্যাতিতার পরিবার। শুরু হয় তদন্ত। এরপরই কোচবিহারের এক নার্সিংহোম থেকে ফোন এলে বাড়ির লোক জানতে পারে তাদের মেয়ের ওপর নির্মমভাবে শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছে।
ঘটনার তদন্তে নেমে ঘটনায় মূল অভিযুক্ত বাপ্পা বর্মন সহ ৫ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন ছিলেন ওই কিশোরী। তবে সকলের সকলের প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে এদিন মৃত্যু হয় ওই কিশোরীর। অন্যদিকে, নাবালিকা নির্যাতনের ঘটনা সামনে আসতেই শুরু হয় রাজনৈতিক তরজা।
মঙ্গলবার হাসপাতালে নির্যাতিতাকে দেখতে পৌঁছন বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা। গতকাল হাসপাতালে গিয়ে নির্যাতিতার শরীরের খোঁজখবর নেন কোচবিহার জেলা তৃণমূল সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিকও। অন্যদিকে এদিন তরুণীর মৃত্যুর পরও রাজনৈতিক তরজা অব্যাহত।
সূত্রের খবর, এদিন নাবালিকার দেহ নিয়ে বচসা তৃণমূল আর বিজেপির মধ্যে । জানা যায় এদিন হাসপাতাল থেকে মরদেহ বাড়ি নিয়ে যাওয়ার জন্য বের করা হলে তৃণমূল বলে তারা দেহ নিয়ে যাবে। অন্যদিকে, বিজেপি বলে তারা দেহ নিয়ে যাবে। মৃতদেহ নিয়েও রীতিমতো দড়ি টানাটানি শুরু হয়ে যায়। এমনকি নাবালিকার বাবাকে একবার তৃণমূলের কাছে, তারপরই আবার বিজেপির থেকেও নিয়ে যাওয়া হয়।