নন্দীগ্রামের বিজেপি প্রার্থীদের বড় জয়, হাইকোর্টের রায়ে মুখ পুড়ল তৃণমূলের

বাংলা হান্ট ডেস্ক : হিংসার আবহে মিটেছে পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election) এখনও যে পরিস্থিতি একেবারে শীতল তা বলা যায় না। এরইমধ্যে নন্দীগ্রামের (Nandigram) জয়ী ১৫ জন বিজেপি (Bharatiya Janata Party) প্রার্থীকে রক্ষাকবচ দিল আদালত (Calcutta High Court)। আগামী সোমবার পর্যন্ত গ্রেফতারির ওপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশের নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত।

বিজেপির (BJP) পক্ষ থেকে এদিন হাইকোর্টে জানানো হয়, নন্দীগ্রামের (Nandigram) একাধিক গ্রাম পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠনের অবস্থায় রয়েছে বিজেপি। কিন্তু বিজেপির জয়ী পঞ্চায়েত সদস্যরা যাতে পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন করতে না পারে সেজন্য বিজেপি প্রার্থীদের বিরুদ্ধে ভুয়ো মামলা করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত বিজেপির একাধিক জয়ী প্রার্থীর বিরুদ্ধে মোট ১৮ টি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।

এজলাসে শুনানির সময় রাজ্যের আইনজীবী আদালতকে জানান, যাদের বিরুদ্ধে ভুয়ো মামলার অভিযোগ করা হচ্ছে, তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন কুখ্যাত দুষ্কৃতী রয়েছে। ‘এরা কি সবাই জয়ী প্রার্থী?’, জানতে চান বিচারপতি। জবাবে সরকারি আইনজীবী বলেন, ‘সেটা জানি না’। এমন জবাব শুনে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায় বিচারপতিকে।

bjp

রাজ্যের আইনজীবীর উদ্দেশে বিচারপতি বলেন, ‘এরা বিজেপি করে সেটা জানেন, আর জয়ী প্রার্থী কিনা সেটা জানেন না!’ এরপরই আগামী সোমবার পর্যন্ত বিজেপির সংশ্লিষ্ট প্রার্থীদের রক্ষাকবচ দেয় আদালত। মামলার পরবর্তী শুনানি হবে আগামী সোমবার।

জমি আন্দোলনের কেন্দ্রস্থল হিসেবে পরিচিত নন্দীগ্রামে ২০১৮-র পঞ্চায়েত নির্বাচনে একচেটিয়া আধিপত্য ছিল তৃণমূলের। সেবার নন্দীগ্রাম ১ নম্বর ব্লকের ১০টি গ্রাম পঞ্চায়েত এবং নন্দীগ্রাম ২ নম্বর ব্লকের ৭টি গ্রাম পঞ্চায়েতই ছিল তৃণমূলেরই দখলে। এবার বদলে গেছে ছবি৷

এবারের ভোটে নন্দীগ্রাম ১ এবং ২ ব্লকের একাধিক গ্রাম পঞ্চায়েতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে বিজেপি। ভোট মিটতেই জয়ী প্রার্থীদের হুমকি দেওয়ার অভিযোগও তুলেছে গেরুয়া শিবির। তাঁদের বক্তব্য, গ্রাম পঞ্চায়েতের দখল নিতে হুমকির পর এবার মিথ্যে কেসে ফাঁসিয়ে জেলে ঢোকানোর ছক কষছে শাসকদল। সেকারণেই আদালতের দারস্থ হন তাঁরা।

Sudipto

সম্পর্কিত খবর