জন্ম থেকে যোনীপথ নেই! বিরল অস্ত্রোপচার করে অসাধ্য সাধন সিউড়ির নার্সিংহোমের

বাংলাহান্ট ডেস্ক : স্বাভাবিক যোনিপথ নেই জন্ম থেকে। মেয়ের ভবিষ্যৎ কী হবে তাই নিয়ে চিন্তিত ছিল পরিবার। ১৭ বছর ধরে সেই মেয়েকে নিয়ে পরিবারের লোকেরা ঘুরেছেন একাধিক হাসপাতাল ও নার্সিংহোমে। কিন্তু সুরাহা হয়নি। অবশেষে এক প্রতিবেশীর কাছ থেকে জানতে পেরে সেই নাবালিকাকে তার পরিবার নিয়ে যায় সিউড়ির একটি বেসরকারি হাসপাতালে (Suri Hospital)।

তারপরই কেল্লাফতে! ওই হাসপাতালে চিকিৎসকেরা দীর্ঘ দুমাস চিকিৎসা ও অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তৈরি করলেন নাবালিকার যোনিপথ। এই অসাধ্য সাধন যিনি করেছেন তিনি হলেন ডাক্তার দেবাশীষ দেবাংশী। এই স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ নাবালিকার দুমাস ধরে চিকিৎসা করেন। এরপর অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তৈরি করেন যোনিপথ। এই অস্ত্রপচারটি তিনি করেছিলেন জুন মাসে।

এরপর জুলাই মাসে দেখা যায় সেই অস্ত্রোপচার সফল হয়েছে। প্রায় তিন ইঞ্চির মতো গভীরতা পেয়েছে ওই নাবালিকার যোনিপথটি। নাবালিকার দিদি এই ঘটনা প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, “আমরা ভাবতেই পারিনি আমার বোন স্বাভাবিক জীবন ফিরে পাবে। ওর কোনও দিন বিয়ে হতে পারে ভাবিনি। চিকিৎসার জন্য বহু জায়গায় ঘুরেছি, কিন্তু লাভ হয়নি। অবশেষে নিজের জেলাতেই সুরাহা পেলাম। ডাক্তার বাবুকে অসংখ্য ধন্যবাদ।”

এই প্রসঙ্গে চিকিৎসক দেবাশীষ দেবাংশী বলেছেন, “অ্যাবসেন্ট ভ্যাজাইনা ( ভ্যাজাইনাল অ্যাজেনেসিস) নিয়ে আমার কাছে রোগী এসেছিল। ডাক্তারি পরিভাষায় একে বলা হয় ‘ মেয়ার রকিট্যানস্কি কুষ্টার হাউসার সিন্ড্রোম বা এম. আর. কে. এইচ সিন্ড্রোম।’ এই জিনিসটি খুব কম মানুষের মধ্যে লক্ষ্য করা যায়। এক্ষেত্রে রোগীর গর্ভাশয় থাকে না বললেই চলে। তবে ওভারি ও টিউবগুলো থাকে।”

img 20230727 17411086

জানা গিয়েছে, এক্ষেত্রে যোনিপথ তৈরীর জন্য এক্ষেত্রে রোগীর ম্যাকিন্ডোস্ অপারেশন করা হয়েছে। অন্য একজনের অপারেশন করে একটি জিনিস নিয়ে মোল্ড তৈরি করা হয়। এভাবেই ধাপে ধাপে অপারেশনটি হয়েছে প্রায় আড়াই ঘন্টা ধরে। এই অপারেশনের পর স্বাভাবিকভাবেই যৌন জীবন উপভোগ করতে পারলেও, গর্ভধারণ করা প্রায় অসম্ভব।

Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর