বাংলা হান্ট ডেস্ক : দক্ষিণ ভারতে (South India) মাটি হারাচ্ছে বিজেপি (Bharatiya Janata Party)। তামিলনাড়ু (Tamilnadu), কেরলা (Kerala), কর্ণাটক (Karnataka), তেলেঙ্গানা (Telangana) হাতছাড়া। সংগঠন নেই অন্ধ্রতেও (Andhra Pradesh)। সামনেই অন্ধ্র বিধানসভা নির্বাচন। নিজের দুর্গে শক্ত ভাবে বসে মুখ্যমন্ত্রী জগন্মোহন রেড্ডি (YS Jagan Mohan Reddy)। তাঁকে হারাতে তেলুগু চিত্রতারকা পবন কল্যাণের দল জনসেনার সঙ্গে হাত মিলিয়েছে পদ্ম শিবির। আলোচনা চালাচ্ছে তেলুগু দেশম পার্টির প্রধান চন্দ্রবাবু নায়ডুর (Chandrababu Naidu) সঙ্গেও।
এত কিছুর পরও মোদি সরকারকে সমর্থন? অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জগন্মোহন রেড্ডির দল ওয়াইএসআর কংগ্রেস শুক্রবার নরেন্দ্র মোদি সরকারের বিরুদ্ধে লোকসভায় বিরোধীদের আনা অনাস্থা প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দেওয়ায় সিদ্ধান্ত নিল। পাশে দাঁড়াল বিজেপির। জগনের দলের সংসদীয় নেতা বিজয়সাই রেড্ডি শুক্রবার তাঁদের এই অবস্থানের কথা সামনে এনেছেন। এরপরই দক্ষিণী রাজ্যে শুরু হয়ে গেছে রাজনীতির নতুন সমীকরণ।
এর আগেও দিল্লির আমলাদের ‘রাশ’ হাতে রাখার জন্য বৃহস্পতিবার মোদি সরকারের বিতর্কিত বিল সমর্থনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ওয়াইএসআর কংগ্রেস়। জগনের দলের ন’জন রাজ্যসভা সাংসদের সেই গুরুত্বপূর্ণ সমর্থনের জোরে সেই বিল পাশ করা বিজেপির পক্ষে অনেক সহজ হয়ে যাবে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ।
তবে, বিরোধীরা অনাস্থা প্রস্তাব আনলেও মোদি সরকারের পতনের বিন্দুমাত্র সম্ভাবনাও নেই। কারণ, ৫৪৩ সাংসদের লোকসভায় সরকারের পতন ঘটনার জন্য প্রয়োজন ২৭২ সাংসদের সমর্থন। বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ সাংসদ সংখ্যা ৩৩২। বস্তুত, এ ক্ষেত্রে ওয়াইএসআর কংগ্রেসের ২২ জন সাংসদের সমর্থনের দরকার নেই মোদীর।
লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা এখনও দিনক্ষণ ঘোষণা করেননি। কিন্তু নরেন্দ্র মোদি সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনে কংগ্রেস এবং ভারত রাষ্ট্র সমিতির পক্ষ থেকে জমা দেওয়া দু’টি নোটিস গ্রহণ করে বুঝিয়ে দিয়েছেন, চলতি বাদল অধিবেশনেই সংসদের নিম্নকক্ষে শক্তিপরীক্ষার সম্মুখীন হতে হবে প্রধানমন্ত্রী মোদিকে। সংসদীয় বিধি অনুযায়ী লোকসভার স্পিকার অনাস্থা প্রস্তাবের নোটিস গ্রহণ করার ১০ দিনের মধ্যেই তা নিয়ে সংসদে বিতর্কের সূচনা হওয়ার কথা। এ বিষয়ে দিন নির্ধারণের ক্ষমতা একমাত্র স্পিকারের।