রাজার মতো করবেন জীবনযাপন, রয়েছে ৪ জন স্ত্রী! আম্বানিকে টেক্কা দিতে আবার “অ্যান্টিলিয়া” নির্মাণ করলেন এই ব্যক্তি

বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান সময়ে দেশের শ্রেষ্ঠ ধনকুবের হলেন মুকেশ আম্বানি (Mukesh Ambani)। স্বাভাবিকভাবেই তাঁর জীবনযাপন যে অত্যন্ত রাজকীয় হবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। এমনকি, আম্বানি “অ্যান্টিলিয়া” নামের যে বিলাসবহুল বহুতলে বসবাস করেন সেটিও বারংবার উঠে এসেছে খবরের শিরোনামে। তবে বর্তমান প্রতিবেদনে আজ আমরা আপনাদের কাছে এমন এক ব্যক্তির প্রসঙ্গ উপস্থাপিত করব যিনি সরাসরি আম্বানিকেই টক্কর দিতে চেয়েছিলেন। হ্যাঁ, প্রথমে বিষয়টা শুনে কিছুটা অদ্ভুত মনে হলেও এটা কিন্তু একদমই সত্যি।

মূলত, উত্তরপ্রদেশের মির্জাপুর জেলায় বসবাসকারী এক ব্যক্তি চেয়েছিলেন রাজকীয়ভাবে থাকতে। আর সেই কারণেই তিনি গ্রামে একটি ১৪ তলার বাড়ি নির্মাণ করেন। যেটি দেখতে অনেকটা “অ্যান্টিলিয়া”-র মতোই। শুধু তাই নয়, ৪ বার বিয়েও করেছেন ওই ব্যক্তি। তবে, এবার এহেন বাড়ি তৈরি করেই বিপদে পড়েছেন তিনি।

এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, মির্জাপুরের শ্রুতিহারের বাসিন্দা সিয়ারাম প্যাটেল কোনোরকম নিয়ম না মেনেই ১৪ তলা বাড়ি তৈরি করে ফেলেন। উল্লেখ্য যে, সিয়ারাম প্যাটেল ওষুধের ব্যবসা করেন। সবথেকে চমকপ্রদ বিষয় হল, রাজাদের মতো জীবনযাপনের উদ্দেশ্যে সিয়ারাম ৪ বার বিবাহ করেন। পাশাপাশি, তাঁর ৬ জন সন্তানও রয়েছে।

এদিকে, শেষপর্যন্ত এসডিএম-এর কাছে আবেদন জানিয়ে ওই “অবৈধ” ভবনটি সিল করে দেন তাঁর মেয়ে। মূলত, তাঁদের ভরণপোষণ না করার জন্যই সিয়ারামের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান তাঁর কন্যা। এরপর এসডিএমের নির্দেশে ভবনটি সিল করা হয়।

This person built "Antilia" like Ambani

এই প্রসঙ্গে গ্রামের বাসিন্দা রামেশ্বর গন্ড জানান, “রাজার মতো বিখ্যাত হওয়ার জন্য সিয়ারাম একটি দুর্গের মতো ভবন তৈরি করেছিলেন। সিয়ারাম আরও উঁচু ভবন নির্মাণ করার চেষ্টায় ছিলেন। কিন্তু আমরা অভিযোগ করেছিলাম। পরে প্রশাসন নির্মাণ বন্ধ করে দেয়।”

পাশাপাশি, তিনি আরও জানান যে, কোনো সঠিক মান ছাড়াই এই ভবনটি নির্মাণ করা হয়েছে। যার কারণে ঝড় হলে আশপাশের লোকজন তাঁদের ঘরবাড়ি ছেড়ে চলে যান। এমনকি, এই ভবনের জন্য বহু মানুষ তাঁদের বাড়ি ছেড়ে বহুদূরে বসতি স্থাপন করেছেন।

This person built "Antilia" like Ambani

হয়েছে দুর্ঘটনাও: সবথেকে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করার সময়ে গ্রামের এই উঁচু ভবনটি দেখতে গিয়ে পথচারীরাও বহুবার দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন। অনেকেই গ্রামে এসে বাড়িটি কাছ থেকে দেখতে চান। এমনকি, শুধু মির্জাপুর নয় আশপাশের জেলাতেও কোনো গ্রামের ভেতরে ১৪ তলার এরকম বাড়ি নেই বলেও জানা গিয়েছে।

ad

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর