বাংলা হান্ট ডেস্ক: বেকারত্বের সমস্যা যে শুধু ভারতের (India) মধ্যেই সীমাবদ্ধ রয়েছে এমনটা কিন্তু নয়। বরং, বিশ্বের অন্যান্য দেশও এই সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে। আর তাদের মধ্যে চিন (China) হল অন্যতম। তবে, এবার চিনের বেকার যুবক-যুবতীদেরকে সেখানকার সরকার অদ্ভুত পরামর্শ দিচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, চিনে স্নাতক পড়ুয়াদের ভালো অভিজ্ঞতার জন্য তাঁদের বাড়ি থেকে দূরে গ্রামাঞ্চলে যেতে বলা হচ্ছে।
বেকারত্বের হারে নয়া রেকর্ড: বর্তমানে চিনে যুবক-যুবতীদের মধ্যে বেকারত্বের হার সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে। প্রায় ১১.৫ মিলিয়ন শিক্ষার্থী চাকরি খুঁজছেন সেখানে। যদিও, মার্কেট থেকে এই বিষয়ে কোনো সাড়া মিলছে না। ২০২৩ সালের জুন মাসে ১৬ থেকে ২৪ বছর বয়সী যুবক-যুবতীদের মধ্যে প্রায় ২১.৪ শতাংশ বেকার ছিলেন।
এমতাবস্থায়, কিছু অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন, এই সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে। ওই যুবক-যুবতীদের কাছে প্রাইভেট টিউটরিংয়ের বিকল্প উপলব্ধ রয়েছে। যদিও, তাঁরা সেটিকে লাভজনক ব্যবসা হিসেবে পরিণত করতে পারছেন না। এর পাশাপাশি কিছু নিষেধাজ্ঞাও আরোপ করা হয়েছে। যার কারণে বেকারত্বের হার ক্রমশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, রিয়েল এস্টেট থেকে শুরু করে প্রযুক্তিগত ক্ষেত্র প্রতিটি দিকেই পরিস্থিতি কমবেশি একই। তরুণ গ্র্যাজুয়েটরা প্রত্যন্ত অঞ্চলে কাজ করতে যেতে চাইছেন না। এমনকি, তাঁরা এই বিষয়ে নেটমাধ্যমে রসিকতার সুরে জানাচ্ছেন যে, তাঁদের ডিগ্রি কোনো কাজেই লাগছে না।
এই প্রসঙ্গে দ্য গার্জিয়ান তাদের রিপোর্টে জানিয়েছে, চিন সরকার বলেছে যে, সেদেশের তরুণ প্রজন্ম অত্যন্ত পছন্দের। মার্চ মাসে, চিনের কমিউনিস্ট পার্টি তরুণ গ্র্যাজুয়েটদের তাদের হাতা গুটিয়ে মাঠে কাজ করতে যেতে বলেছিল। এমনকি প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বলেছেন, উন্নত চিন গড়তে তরুণদের “তেতো খেতে” হবে। উল্লেখ্য যে, তেতো খাওয়া হল কষ্ট সহ্য করার ক্ষেত্রে একটি চিনা রূপক।
পাশাপাশি, চিনা কমিউনিস্ট পার্টির অফিসিয়াল সংবাদপত্র পিপলস ডেইলির একটি সম্পাদকীয় প্ৰতিবেদনে বলা হয়েছে যে, “আপনি তরুণ অবস্থায় থাকলে তখন যদি কষ্ট বেছে নেন সেক্ষেত্রে আপনি ফসল বেছে নেবেন। আপনি যদি উৎসর্গ বেছে নেন, সেক্ষেত্রে আপনি আভিজাত্য বেছে নেবেন।” এমতাবস্থায়, চিনের শিক্ষার্থীরা চিনা সোশ্যাল মিডিয়ায় এই সম্পাদকীয় প্রতিবেদনের তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।