বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সামনে এসেছে। মূলত, আপনি যদি ব্যাঙ্ক থেকে হোম লোন, কার লোন বা অন্য কোনো লোন নেওয়ার পরিকল্পনা করে থাকেন সেক্ষেত্রে এই খবরটি আপনাকে খুশি করতে পারে। আসলে, RBI (Reserve Bank Of India)-এর তরফে আসন্ন দ্বি-মাসিক নীতি পর্যালোচনায় পরপর তৃতীয়বারের মতো সুদের হারে কোনো পরিবর্তনের বিষয়ে আশা করা হচ্ছে না।
অর্থাৎ, রেপো রেট পুরোনো পর্যায়েই থাকবে বলে মত প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। পাশাপাশি, বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন যে, মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভ এবং ইউরোপিয় সেন্ট্রাল ব্যাঙ্কের মূল হারে বৃদ্ধি হওয়া সত্বেও অভ্যন্তরীণ মুদ্রাস্ফীতি RBI-এর নির্ধারিত সীমার মধ্যেই রয়েছে।
রেপো রেট রয়েছে ৬.৫ শতাংশে: উল্লেখ্য যে, RBI গত বছরের মে মাস থেকে সুদের হার বাড়াতে শুরু করেছে। তবে, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে রেপো রেট ৬.৫ শতাংশে রয়েছে। মূলত, গত এপ্রিল এবং জুনে সম্পন্ন হওয়া দু’টি দ্বি-মাসিক নীতি পর্যালোচনায় এটি অপরিবর্তিত ছিল। এদিকে, RBI গভর্নরের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের মনিটারি পলিসি কমিটির (MPC) বৈঠক আগামী ৮ থেকে ১০ অগাস্ট অনুষ্ঠিত হবে। এমতাবস্থায়, RBI গভর্নর শক্তিকান্ত দাস আগামী ১০ অগাস্ট নীতিগত সিদ্ধান্তের ঘোষণা করবেন।
মুদ্রাস্ফীতি রয়েছে ৫ শতাংশের নিচে: এই প্রসঙ্গে ব্যাঙ্ক অফ বরোদার চিফ ইকোনমিস্ট মদন সাবনভিস জানিয়েছেন, “আমরা আশা করছি যে RBI এই হারের উপর স্থিতাবস্থা বজায় রাখবে। এর কারণ হচ্ছে বর্তমানে মুদ্রাস্ফীতির হার ৫ শতাংশের নিচে চলছে। তবে আগামী মাসে মুদ্রাস্ফীতি বাড়লে তা কিছুটা বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।”
এদিকে, কোটাক মাহিন্দ্রা ব্যাঙ্কের চিফ ইকোনমিস্ট উপাসনা ভরদ্বাজ জানিয়েছেন, “যেহেতু ২,০০০ টাকার নোট প্রত্যাহারের ঘোষণার পরে নগদ অর্থের অবস্থান অনুকূল হয়ে উঠেছে, তাই আমরা আশা করছি RBI বর্তমান অবস্থানে অটল থাকবে।”
পাশাপাশি, উপাসনা ভরদ্বাজ আরও জানান, এখন সবার চোখ থাকবে দেশীয় মুদ্রাস্ফীতির দিকে। এদিকে, ICRA-র প্রধান অর্থনীতিবিদ অদিতি নায়ার জানিয়েছেন যে, সবজির দাম বৃদ্ধির কারণে ২০২৩ সালের জুলাই মাসে সিপিআই বা খুচরো মুদ্রাস্ফীতি ৬ শতাংশের উপরে যেতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে।